
মো.আলী হোসেন খাঁন : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বড় সেন্টিগ্রেডের মাধ্যমে শুধু মাছ ধরতে চলছে নদী সেচ। এতে পানি সংকটে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি। এ নিয়ে জনমনে চাপা ক্ষোভ থাকলেও কেউ প্রকাশ করার সাহস নেই। সরজমিনে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বেরী নদীতে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আয়তনের সরকারি বেরী নদী সেচ চলছে। গত কয়েক দিন ধরে বড় ২ টি পানির মেশিন বসিয়ে নদী সেচ করা হচ্ছে। নদী শুকিয়ে মাছ ধরতে আরো কয়েকদিন লাগবে বলে স্থানীয়রা জানান। নদীর পানি সেচের জন্য স্থানীয় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছে। নদীর পাড়ে রয়েছে ফসলি জমি। এসব জমিতে পানি দেয়ার একমাত্র নদীটি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে দেখে স্থানীয় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়লেও প্রতিবাদ করার সাহস নেই বলে অনেকে জানান।
তবে নদী পাড়ে থাকা ইজারাদারদের ঘরে থাকা শ্রমিক আবদুর রকিবসহ অনেকে বলেন, আমরা সবাই কাজের লোক। নদীর মালিক হচ্ছেন অজুদ মিয়া, ফরুক মিয়াসহ কয়েকজন এলাকার প্রভাবশালী । তাদের নির্দেশে আমরা কাজ করছি।
এ ব্যাপারে জানতে অজুদ মিয়ার সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সাক্ষাতে কথা হবে। নদী সেচের সরকারি অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরজমিনে তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।