মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট( দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরিষা লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা।এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। সরিষার তেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন তারা।এবার এ উপজেলায় ২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে ৪৬৫ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠে মাঠে বিভিন্ন জাতের সরিষা ফুলের হাসি ঝরছে। ঘোড়াঘাট উপজেলায় এবার ঘোড়াঘাটে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় বারি-১৮ জাতের সরিষার চাষসহ রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করেছেন কৃষকরা। সরিষা চাষে উৎপাদন খরচ কম,ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের হাসির ঝিলিক দেখা দিচ্ছে।
সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলায় বারি-১৮ জাতসহ বারি-১৪, ১৫, ১৭, বিনা ৯ ও ১১ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত মৌসুমে ২২০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল যা গত বছরের চেয়ে ৪৬৫ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলার সিংড়া ইউয়িনের আফতাব উদ্দিন মাস্টার,মোহাম্মাদ আলী,আবু সাঈদ বলেন, কয়েক বছর আগেও আমন ধান কাটার পর তাদের জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতো। কিন্তু বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন ওই জমিতে সরিষা চাষ করছেন। কারণ সরিষার তেল খাওয়ার পর সরিষা বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়।
কৃষি অফিস বারি-১৮ জাতের সরিষা সম্পর্কে জানায়, ভোজ্য তেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী এ জাতের সরিষা। বিঘায় ১০ মণের ওপরে ফলন। এই জাতের সরিষায় কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। হৃদরোগীরাও এই তেল খেতে পারবেন। এ সরিষার তেল কানাডার কেনুলা মান পরীক্ষায় প্রত্যায়িত।’
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ‘এ অঞ্চলের মাটি ও আবহায়া সরিষা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আমরা চলতি মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় ৩ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করেছি। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে সরিষা চাষে তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’