মাহতাব উদ্দন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রায়হান কবির মিলন নামে এক চালককে হ’ত্যা করে ইজিবাইক ছি’নতাইয়ের ঘটনায় জড়িত চার যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছি’নতাই হওয়া ইজিবাইক, একটি মোবাইল ফোন এবং হ’ত্যার কাজে ব্যবহৃত ধা’রালো ছু’রি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইবনে মিজান।
তিনি জানান, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালে আবু রায়হান তার ব্যাটারিচালিত ইজিবাই নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঙ্গুরা গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ে রায়হান কবীর মিলনের ম’রদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নি’হত রায়হান কবির মিলনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধা’রালো ছু’রির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হয়, সংঘবদ্ধ চক্রটি ইজিবাইক ছি’নতাই করে রায়হানকে হ’ত্যা করে মরদেহ বাঁশ ঝাড়ে ফেলে যায়। রায়হান কবীর মিলন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ ভর্নাপাড়া গ্রামের মৃত সাহেদ আলীর পুত্র।’
তিনি আরও জানান, ‘রায়হান হ’ত্যার ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা হলে পুলিশ কয়েক দিন ধরে হ’ত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালান। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে হ’ত্যায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছি’নতাই হওয়া ইজিবাইক, একটি মোবাইল ফোন এবং হ’ত্যায় ব্যবহৃত ধা’রালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ৪ যুবক চালককে হ’ত্যা করে ইজিবাইক ছি’নতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খারিতা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (২৭), পলাষট্টি গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (১৯), একই গ্রামের বিশ্বনাথ মালির ছেলে চন্দন মালি (৩০), এবং রঘুনাথপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে মীর হোসেন (২৪)।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সি-সার্কেল উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান, ওসি, তদন্ত পরিদর্শক তারেফুল ইসলাম ও বৈরাগীরহাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মতিউর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।