
শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে থাকায় গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন হোটেল ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ফলে খাবার সংকটে পড়া মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে। খেয়ে না খেয়ে তারা মানবতের জীবনযাপন করছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়ার পর জেলা পুলিশ এসব মানুষের দায়িত্ব নেন। প্রতিরাতে তাদের খাবার বিতরণসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। আজ শহরের স্টেশন রোড় এলাকা থেকে ভারসাম্যহীন সেলিমকে নিয়ে আসা হয় সদর থানায চত্বরে। এরপর তাকে গোসল করিয়ে নতুন ও পোশাক পরিয়ে খাবার খাইয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাবনার মানসিক হাসপাতালে মাইক্রোযোগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ সময় সেলিমের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে গত কয়েক বছর থেকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে বাড়িতে থাকে না। টাকার অভাবে ওকে চিকিৎসা করাতে পারছিনা । আজকে পুলিশের সাহায্যে তাকে পাবনা হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। এতে আমি অনেক খুশি ।
অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন কাশেম বলেন, সমাজের এই মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার ।
অন্যদিকে ‘নিরাপদ চিকিৎসা চাই’ এর জেলার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, প্রতিটি মানুষের চিকিৎসা পাবার অধিকার আছে। সুচিকিৎসা পেলে একটা অসুস্থ মানুষও দ্রুত ভাল হয়ে ওঠে। আজ আমরা পাগল সেলিমকে নিয়ে পরিবারের সাথে পাবনায় যাচ্ছি।
পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সমাজে ছিন্নমূল মানুষগুলোর পাশে জেলা পুলিশ সবসময় কাজ করে আসছে । আগামীতেও কাজ করে যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচাজ খান মোঃ শাহারিয়া, টি আই অ্যাডমিন নুর আলম সিদ্দিক, মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন কাশেম ,নাজিম আহম্মেদ রানা ,‘নিরাপদ চিকিৎসা চাই’ জেলার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউরসহ বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ।