ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
কেএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ অভিযানে মো: ইমন হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত স’ন্ত্রাসী মো: মামুন হাওলাদারপেস্টিং মামুনকে ১ টি বিদেশী রি’ভলবার, ৬ রাউন্ড গু’লি সহ এবং মা’দক কারবারি পলাশচিংড়ি পলাশ ও পারভীন সুলতানাটিকলি’দ্বয়কে ১ হাজার ৩ শ’ ৫০ পিস ই’য়াবা ট্যাবলেটসহ মোট ৩ জনকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে।
আজ শনিবার, কেএমপি’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ৭ অক্টোবর ২০২৩ খ্রি. দুপুর সাড়ে ১২ টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা কর্তৃক গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ অভিযানে মো: ইমন হত্যাকান্ডে জড়িত স’ন্ত্রাসী মো: মামুন হাওলাদারপেস্টিং মামুনকে ১ টি বিদেশী রি’ভলবার, ৬ রাউন্ড গু’লিসহ এবং মা’দক কারবারি পলাশচিংড়ি পলাশ ও পারভীন সুলতানাটিকলি’দ্বয়কে ১ হাজার ৩ শ’৫০ পিস ই’য়াবা ট্যাবলেটসহ সর্বমোট ৩ জনকে গ্রে’ফতার সংক্রান্তে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার বলেন, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় স’ন্ত্রাসী, অবৈধ অ’স্ত্রধারী, মা’দক ব্যবসায়ী ও জ’ঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাসে বেশ কিছু অবৈধ অ’স্ত্র ও গু’লি উদ্ধার, বিপুল পরিমাণ মা’দকদ্রব্য জব্দ এবং এর সঙ্গে জড়িত অনেক আসামীকে আটক করা হয়েছে। গত ০৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গোবরচাকা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ইমন হ’ত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হ’ত্যাকাণ্ডের অল্প সময়ের মধ্যে জড়িত ০৫ জন আসামীকে অ’স্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। তন্মধ্যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি অন্য আসামীদের গ্রেফতার ও অ’স্ত্র উদ্ধারের জন্য ডিবি পুলিশ জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় ০৭ অক্টোবর ২০২৩ খ্রি. তারিখ রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গোবরচাকা এলাকার ডিবি পুলিশের চৌকস একটি টিম শাহিনুর মসজিদ রোড এলাকায় ইমন হ’ত্যাকাণ্ডের এজাহারনামীয় ৪নং আসামী পলাশচিংড়ী পলাশ এর বাড়ির সামনে থেকে মামুন হাওলাদারপেস্টিং মামুন, পিতা-মোঃ হাবিব হাওলাদার, সাং-আলম নগর, থানা-খালিশপুর এর দেহ তল্লাশি করে ১ টি বিদেশী রি’ভলবার এবং ৬ রাউন্ড গু’লিসহ গ্রেফতার করে। উক্ত মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ১ টি দ’স্যুতা, ২ টি মা’রামারি এবং ১০ টি মা’দকের মামলাসহ সর্বমোট ১৩ টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় ০২ টি সাজা পরোয়ানা রয়েছে। উক্ত মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানায় যে, সে পলাশচিংড়ি পলাশের বাড়িতে অবস্থান করে। অত:পর তাকে নিয়ে পলাশচিংড়ি পলাশের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে পলাশচিংড়ি পলাশের স্ত্রী পারভীন সুলতানাটিকলি এবং পলাশের ভাইরা ভাই মোঃ সেলিম শেখকে ১৩৫০ পিস ই’য়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। উক্ত পারভীন সুলতানাটিকলি’র বিরুদ্ধে ০১ টি মামলা রয়েছে। এ সংক্রান্তে তাদের সকলের বিরুদ্ধে অ’স্ত্র আইন এবং মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও, পলাশচিংড়ি পলাশের বিরুদ্ধে মাদকের ৪ টি, বি’স্ফোরক ২ টি, অ’স্ত্র ২ টি, খু’ন ১ টি এবং অন্যান্য ৩ টি সহ সর্বমোট ১২ টি মামলা রয়েছে।”
তিনি এই সময় আরও বলেন যে, ‘খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা, নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। অ’স্ত্রধারী স’ন্ত্রাসী গ্রেফতার, মা’দক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে মা’দকদ্রব্য উদ্ধার, জ’ঙ্গি না’শকতাকারীদের গ্রেফতার এবং আলামত উদ্ধার, বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতার, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।”
এ সময় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) এম এম শাকিলুজ্জামান; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা-সহ পুলিশ অফিসারবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।