ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
কেএমপি’র খুলনার সদর থানার মানব পাচার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছা. শারমিন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বুধবার কেএমপি’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১০ জুলাই ২০২৪ খ্রি. বুধবার দুপুর ০১:১৫ ঘটিকায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খুলনা সদর থানা প্রাঙ্গণে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা মহোদয় খুলনা সদর থানার মানব পাচার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তার গ্রেফতার সংক্রান্তে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।
কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মিডিয়া বিফ্রিংয়ে বলেন, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। আমরা বিগত কয়েক মাস থেকেই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনে অ’স্ত্রধারী স’ন্ত্রাসী, না’শকতাকারী, স্বর্ণ চো’রাচালানকারী, মা’দক ব্যবসায়ী, জ’ঙ্গি, অ’স্ত্র-গোলাবারুদ ব্যবসায়ী, চো’রাই মোটরসাইকেল, জু’য়াড়ি, বিকাশ এবং অনলাইন প্র’তারণায় জড়িত প্র’তারক, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত, হ’ত্যাকান্ডে জড়িত আসামী ও ভূ’মিদস্যুসহ সমাজে যারা প্রভাব বিস্তার করে না’শকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি।
এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১১ মে ২০২০ খ্রি: সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় খুলনা থানাধীন বাইতিপাড়াস্থ “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিকে বাদী মো: আশিক শেখের স্ত্রী মোছাঃ আশা খাতুন একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। পরবর্তীতে বাদীর স্ত্রী অজ্ঞান থাকা অবস্থায় নবজাতক শিশুটি বাদীর শাশুড়ি মোছাঃ লাভলী খাতুনের নিকট ছিলো। এমতাবস্থায় বিকাল ০৫.৩০ ঘটিকা হতে ০৬.৩০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তার বাদীর শাশুড়িকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখাইয়া সু-কৌশলে নবজাতক শিশুটিকে খুলনা থানাধীন বাইতিপাড়াস্থ “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিক হতে অ’পহরণ করে। এ সময় তিনি রিক্সাযোগে রওনা করলে রিক্সাচালক মোঃ হুমায়ুন কবিরের সন্দেহ হলে তিনি স্যার ইকবাল রোডস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে হতে আশপাশের লোকজনদেরকে ডাক চিৎকার দেয়। অতঃপর আশপাশের লোকজন এসে আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারকে নবজাতক শিশুসহ আটক করে। এ সংক্রান্তে খুলনা থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১২/০৫/২০২০ খ্রি:, ধারা-২০১২ সালের মানব পা’চার প্রতিরোধ ও দমন আইন এর ১০(২) রুজু করা হয়।
উপরোক্ত ঘটনায় খুলনা থানায় এসআই(নিঃ) বি.এম মনিরুজ্জামান তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে বস্তবতা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে খুলনা থানার অভিযোগপত্র নং-১৬০, তারিখ-৩১/০৭/২০২০ খ্রি:, ধারা-২০১২ সালের মানব পা’চার প্রতিরোধ ও দমন আইন এর ১০(২) বিজ্ঞ আদালতে প্রকাশ্য বিচারের নিমিত্তে দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, উক্ত মানব পা’চার মামলায় দন্ডিত আসামী অদ্যাবধি পলাতক ছিল এবং পলাতক আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত হতে যা’বজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা খুলনা সদর থানায় ইস্যু হয়। অতঃপর ১০ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম বাগেরহাট জেলার রামপাল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাত্র ০২.১৫ ঘটিকায় চৌরাম্ভা এলাকার নিজ বাসা হতে যা’বজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারকে নারী পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়। উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের বিষয়টি ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদেরকে অবহিত করা হয়। ভিকটিমের পরিবার আসামী গ্রেফতারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।”
এ সময় মিডিয়া বিফ্রিংয়ে কেএমপি’র খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন খাঁন এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই কুমার কুন্ড-সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।