ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক :
কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটায় আবৃতি ইলেক্ট্রোনিক্স এন্ড মার্কেটিং ব্যবসার নামে লটারীর টিকিট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ায় অবৈধ মার্কেটিং বন্ধে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে ফয়জার রহমান নামে এক ব্যক্তির বাসা ভাড়া নিয়ে জেলার রৌমারী উপজেলা সদরের কলেজপাড়ার শ্রী গোপাল চন্দ্র দাসের পুত্র পল্লব কুমার দাস(৩২) ও শ্রী পিন্টু সাহার পুত্র পিযুষ সাহা(৪০) আবৃতি ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড মার্কেটিং কোম্পানীর নাম দিয়ে প্রতারনা করে বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের কমিশনের ভিত্তিতে মার্কেটিং এর নামে ১০০ টাকা মূল্যের লটারী বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
উল্লেখ্য, প্রতিটি লটারীতে নিশ্চিত পুরস্কারের নিশ্চয়তা দিয়ে টিকিট বিক্রি করে আসছিল। এদিকে লটারীতে পুরস্কার প্রাপ্তরা পুরস্কার নিতে গেলে কোম্পানীর শর্তানুযায়ী বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ১৫০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানীর নকল পন্য সরবরাহ করে। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে লটারীর ড্র পরিচালনা করে নাম মাত্র পুরস্কার দিয়ে আসায় লটারীর টিকিট বিক্রির ধুম পড়ে যায়। আবৃতি ইলেক্ট্রোনিক্স এন্ড মার্কেটিং কোম্পানীর নাম দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রির বিষয়টি এলাকার সচেতন মহলের নজরে আসার পর অবৈধ লটারী বন্ধে কচাকাটা থানার ওসিসহ ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে অবগত করা হলে ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শওকত আলী অভিযান চালিয়ে তাদের অবৈধ লটারীর ব্যবসা বন্ধ করে এবং
তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবসাগুটিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন।
সুবলপাড় বাজারের মিন্টু প্রধান,সাইদুর রহমানসহ অনেকে জানান, গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিশ্চিত পুরস্কারের কথা বলে লটারী বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনেক গৃহবধু হাসমুরগী বিক্রি করে লটারীর টিকিট কিনে প্রতারিত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শওকত আলী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ,প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তাদের ব্যবসা চালালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।