রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি >>
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের গোপীনাথপুর (পাগলা) ও চকহারদী গ্রামের মাঠের মধ্য থেকে গরু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ৩দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও একজন ডাকাতকেও ধরতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছরেও ডাকাতির ঘটনা একই জায়গায় ঘটালেও তাদের কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। সারা বাংলাদেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম উন্নতি হয়েছে, সেখানে একই জায়গায় পর-পর দু’বার ডাকাতির ঘটনায় কেউ আটক না হওয়ায় এলাকাবাসী চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। পুলিশের এমন ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে মিরপুরের মালিহাদ ইউপি’র গোপীনাথপুর (পাগলা) ও চকহারদী গ্রামে। এই দুই গ্রামের মানুষ এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গেলে মালিহাদ ইউনিয়নবাসী জানায়, গত বুধবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং) রাত ৮টার দিকে গরু ব্যবসায়ীরা আলমডাঙ্গা থেকে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে মিরপুরের মালিহাদ ইউপি’র গোপীনাথপুর (পাগলা) ও চকহারদী গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌঁছালে ৮-১০ জনের একটি ডাকাতদল তাদের গতিরোধ করে রামদা, চাপাতি ও পিস্তল ঠেকিয়ে গরু ব্যবসায়ীদের টাকা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতদলের সদস্যবৃন্দকে কেউ যাতে চিনতে না পারে এজন্য তারা মুখ বেঁধে ও হাফ প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
এবিষয়ে মালিহাদ ক্যাম্প জানায়, ডাকাতির ঘটনার পর আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ডাকাতদের ধরার চেষ্টা চলছে।
এবিষয়ে মালিহাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, ওই মাঠের মধ্যে ডাকাতির করার লোক হামিদ বাহিনী ছাড়া আর কে করবে? আর হামিদ বাহিনী কোন ঘটনা ঘটালেও প্রশাসন অজানা কারণে নিরব ভূমিকা পালন করে।
মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন জানান, হামিদ বাহিনী ছাড়া এরকম ঘটনা কেউ ঘটাতে পারেনা। তাকে আইনের আওতায় এনে রিমান্ডে আনলেই সমস্ত তথ্য বেরিয়ে আসবে।