
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। সোমবার (১৮ মে ২০২০ খ্রি.) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি জানান, রবিবার (১৭ মে) ইমেইলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তারা এই আবেদন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন থেকে বেতন-বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ ১৬ বছরেও ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাসের পরিবর্তন নেই। এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০১৬ সাল থেকে টাইমস্কেলের পরিবর্তে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৫ বছরেও তা কার্যকর হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা সহায়ক ভাতা নেই, নেই কোনও বদলির ব্যবস্থা।
আবেদনে আরও বলা হয়, করোনার প্রভাবে শিক্ষক সমাজ আজ গৃহবন্দি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি বেতনের যে সামান্য অংশ পান, তা থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। এই সামান্য বেতন থেকে ঘর ভাড়া দিয়ে তাদের জীবন চলে না। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও কোন সম্মানী বা ভাতা পান না শিক্ষকরা। তাই জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
প্রধানমন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণ করে আবেদনে বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ৩৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে জাতীয়করণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর হয়ে উঠেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা তথা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
অতএব, আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে জাতীয়করণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দসহ জাতীয়করণ ঘোষণা করলে আপনার কাছে শিক্ষক সমাজ চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম রনি জানান, আগে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত রয়েছে। নতুন করে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি চলমান রয়েছে।