
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে পাঁচটি পরিবারের বসত বাড়িতে ভ’য়াবহ অ’গ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের ছাতুয়া গূর্বপাড়ায় এই অ’গ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাতেই আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আ’গুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ অগ্নিকাণ্ডে ধান, চাল, সরিষা, টাকা ও আসবাবপত্রসহ পাঁচ পরিবারের সব পুড়ে প্রায় ২৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল হালিম ও রেজাউল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তারা রাতের খাবারের পর ঘুমাতে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল হালিমের আধাপাকা টিনের ছাউনি ঘরের তালার পাশ দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তার থেকে অ’গ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তেই আ’গুন তার বাড়ি ও পাশের রেজাউল ইসলাম, সেকেন্দার আলীম, নুর ইসলাম ও আব্দুল হান্নানের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আ’গুন নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করেও কোন ফল না হওয়ায় রাত ১২টা দিকে আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আ’গুন নিয়ন্ত্রণ করলেও ততক্ষণে ওই ৫বাড়ির টিনের ছাউনি, ঘরে রাখা ধান, চাল, সরিষা, আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু টাকা পুড়ে ও স্বর্ণালংকার হারিয়ে যায়।
আব্দুল হালিম জানায়, তার ৫ লক্ষাধিক টাকা, রেজাউল ইসলামের ৬ লাখ, সেকেন্দার আলীর ৭ লাখ টাকা, নুর ইসলামের ৪ লাখ টাকা ও আব্দুল হান্নানের ৫ লক্ষাধিকসহ প্রায় ২৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিস অফিসের লিডার রেজাউল করিম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। বসতি ঘন হওয়ার কারণে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আ’গুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। রাতে পুলিশ ও পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় ও কুন্দগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান শামিম উল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বস দেন।