
আল মাসুদ, পঞ্চগড় জেলাপ্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো ভিক্ষা করে চলছে নিরলা বালার জীবন ।
জানা গেছে, উপজেলার ৫নং বলরামপুর ইউনিয়নের বটতলী, পাইকপাড়া গ্রামের মৃত গোলারাম বর্মনের স্ত্রী । শারীরিকভাবে বার্ধ্যকে নুইয়ে পড়লেও মিলছে না কোন সরকারি সুযোগ- সুবিধা। চেয়ারম্যান- মেম্বারের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কপালে জুটেনি বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড । পায়নি কোন সরকারি সুযোগ- সুবিধা। তাই ভিক্ষা করে চলছে জীবন জীবিকা।
নিরলা বালা জানান , আমি অভাবের তাড়নায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে ভিক্ষা করে আসছি ।আমার ছেলে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায় এতে চলে না। সংসারে অভাব অনটনে ঠিক মত দু’বেলা খাবার জুটেনা। আমি বৃদ্ধ কাজ করতে পারি না। আমাকে কেউ কাজও দেয়না। তাই জীবন বাচাঁতে ভিক্ষা করি। আমাকে মেম্বার বা চেয়ারম্যান সরকারি কোন সুযোগ- সুবিধা দিলে কোন মতে বেচেঁ থাকতে পারি। বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড করে দিলে আমি কোনদিন ভিক্ষা করবো না। আমি অনেকবার মেম্বার, চেয়ারম্যানের কাছে গেছি কার্ড করে দিতে চেয়েছে কিন্তু আজও আমার কোন কার্ড হয় নি ।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৩ মার্চ (মঙ্গলবার) উপজেলা পরিষদ চত্বরে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা’র সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক, সাবিনা ইয়াসমিন ও
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ ইউসুফ আলীসহ অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন হতে বাছাই করে ৪৯ জন ভিক্ষুককে তাদের শারীরিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে কাউকে মুদি দোকান, কাউকে গরু, কাউকে ছাগল, কাউকে অটো রিক্সা, ভ্যান ও মুরগিসহ নগদ অর্থ প্রদান করে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেন।
ইউপি সদস্য মজিরউদ্দীন বলেন, ভিক্ষুক বুড়িকে করোনাকালিন চাল দিয়েছি, এবার আমি চেষ্টা করবো বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য।
বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, বিধবা ভিক্ষুককে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন আমি ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো.সামসুজ্জামান জানান, উপজেলা ভিক্ষুক মুক্ত তথ্য আছে।এ ব্যাপারে মিটিং আছে, কোন ভিক্ষুক থাকলে অবশ্যই তাদের জন্য পুনর্বাসন করে দেওয়া হবে।