মো. ইব্রাহিম খলিল, হোমনা,কুমিল্লা >>
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুরের আখন্দপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশে পিটিয়ে আহত করেছে স্বামী , শাশুড়ি-ননাসসহ পরিবারের লোকজন।
আজ শুক্রবার সকালে চান্দেরচর ইউনিয়নের আখন্দপাড়ায় হানিফ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে । প্রতিবেশীরা আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর আখন্দ পাড়ার আবদুল বাতেন মোল্লার মেয়ে সুইটি আক্তারের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক একই পাড়ার সানাউল্লার ছেলে মোঃ হানিফ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি সন্তানও রয়েছে।
গৃহবধূ সুইটির বাবা জানান, মেয়েকে বিয়ে দেয়ার সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার মিলিয়ে তিন লাখ টাকার বেশি দেয়া হয়েছে। বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের নির্যাতনে গর্বের একটি সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। পরে মেয়ের সুখের জন্য সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে জামাইকে বিদেশে পাঠিয়ে দেই ।সে সময় মেয়ের ঘরে আমার একটি নাতী হয়।কয়েক বছর বিদেশ করার পর দেশে এসে মেয়ের ওপর একই নির্যাতন চালাতে শুরু করে এবং টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে না পাড়ায় দীর্ঘ এক বছর মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়িতে উঠতে দেয় নাই। আজ (শুক্রবার) সকালে মেয়ে স্বামীর বাড়িতে গেলে তাকে একা পেয়ে যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
নির্যাতিতা গৃহবধূ সুইটি আক্তার বলেন, ‘ওদেরকে টাকা দিলেই সব ঠিক, টাকা না দিলেই আমাকে খুন করে ফেলার হুমকি দেয়।আজও আমি বাড়িতে গেলে আমার শাশুড়ি ও স্বামী বলে টাকা নিয়ে এসেছিস? আমি না বলায় আমাকে হাত-পা বেধে ফেলার চেষ্টা করে। আমার চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির লোকজন চলে এলেও ওরা আমাকে রেহাই দেইনি। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো।’
এ বিষয়ে হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী জানান, বিষয়টি শুনেছি তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।