crimepatrol24
২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় বিকাল ৩:৩৫ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জুন ১০, ২০২০ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:

আসন্ন বাজেটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বরাদ্দ দেয়ার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ”কেমন বাজেট চাই’’ শীর্ষক আলোচনায় সরকারের প্রতি এ আহবান জানিয়েছে দলটি। দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অ্যাড. মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কল্যাণে কাজ করে। সরকারের নানা ত্রুটি- বিচ্যুতি তুলে ধরে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে দেশ পরিচালনায় সরকারকে সহযোগিতা করে। এজন্য তাদেরকে নানান ধরণের কর্মসূচি বা গবেষণামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হয়, যার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। ক্ষমতায় না থাকা দলগুলি বছরের পর বছর আর্থিক সংকটে থাকায় দেশের কল্যাণে প্রয়োজনীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে না। ফলে দেশকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে দলগুলি ব্যর্থ হচ্ছে। দলগুলির জন্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে আর্থিক অনুদান দেয়া উচিত যার জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বা এনজিওদের জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তা থাকে। দেশের বৃহৎ স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে আর্থিক অনুদান আবশ্যক। নির্বাচন কমিশনে প্রতি বছর দলগুলির জন্য আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদান বাধ্যতামূলক। অর্থ প্রদান না করে হিসাব গ্রহণ সমীচীন নয়। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের উচিত দলগুলির জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা রেখে জবাবদিহিতা আদায় করা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সরকারি বরাদ্দ থাকে। বাংলাদেশেও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বরাদ্দের প্রচলন করার আহবান জানিয়েছে দেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেস।

রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বস্তরের কমিটিতে ৩৩% নারী সদস্য রাখার বিধানটি বাতিলে নির্বাচন কমিশনের গৃহীত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক দল কোন বেতনভুক্ত প্রতিষ্ঠান নয়। তাই এখানে কোন কোটা পদ্ধতি প্রযোজ্য নয়। রাজনীতি স্বেচ্ছাসেবার কাজ এবং এখানে কাউকে জোর করে বা সুবিধা দিয়ে আনা যায় না। নারীদেরকে রাজনীতিতে আনার জন্য যে বিধান করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এক-এগারোর অরাজনৈতিক সরকারের দুর্বল চিন্তার ফসল। এই বিধান অচিরেই বাতিল করা দরকার। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশ গ্রহণের পথ সব সময় উন্মুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল। কোন দল তাদের অংশগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করে না। এমনকি প্রত্যেকটি দলে আলাদা নারী সংগঠন থাকে। সুতরাং এর জন্য বিধান করার কোন প্রয়োজন নেই।

বাজেটকে সহজীকরণ করার ওপর মিটিংয়ে মতামত প্রদান করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের বাজেটকে অনেক জটিল করে উপস্থাপন করা হয়। ফলে সাধারণ মানুষ বাজেটকে অনুধাবন করতে পারে না। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা, যোগাযোগসহ মানুষের চাহিদাসমুহ পূরণে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তার জন্য কোন্ খাতে কত ব্যয় হবে বা কোথা থেকে কত টাকা আসবে এর হিসাবটা সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু নানা জটিল শব্দ ও কথার মার-প্যাচে বাজেটকে উপস্থাপন করা হয় যা সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য হয় না। দলের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাজেটের আকার না বাড়িয়ে দুর্নীতি ও অপব্যবহার কমানো উচিত। আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্য খাত ছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, কর্মসংস্থান ও শিক্ষার ওপর সর্বাধিক বরাদ্দের ওপর গুরুত্বারোপ করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ। করোনার কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসন্ন গণছাঁটাইয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে এবারকার বাজেটে কৃষি ও শিল্পের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন দলের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এম. তাহের উদ্দিন।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত