অনলাইন ডেস্ক : ভারতের মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় এক বালিকাকে উত্যক্ত করায় গ্রেফতার হলো প্রতিবেশীর মোরগ। স্থানীয় থানায় বালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মোরগটির সঙ্গে মালিককে সস্ত্রীক আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঋতিকা নামে পাঁচ বছরের ওই বালিকা তাদের বাড়ির সামনে খেলছিল। মোরগটি এ সময় তাকে আক্রমণ করে এবং তার গালে বার বার ঠোকরাতে শুরু করে। ঋতিকা রক্তাক্ত অবস্থায় কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা পুনম কুশবাহা এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং তাকে নিয়ে থানায় যান। পুনম সেই মোরগ ও তার মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুনম জানান, ‘আমার প্রতিবেশী পাপ্পু ও তাঁর স্ত্রীর পোষা এই মোরগের আচার-আচরণ মোটেই সুবিধাজনক নয় । এটি বেশ কিছু দিন ধরেই আমার শিশুকন্যা ঋতিকাকে জ্বলাতন করছে। এর জ্বালায় ঋতিকা বাড়ির বাইরে বের হতে পর্যন্ত ভয় পায়। বার বার পাপ্পুদের এ বিষয়ে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা। আদরের মোরগ সম্পর্কে কোনো অভিযোগ কানেও তুলতেই রাজি নন তারা। গত পাঁচ মাসে প্রায় চার বার মোরগটি আমার মেয়েকে আক্রমণ করেছে’।
থানায় অভিযোগের পর পুলিশ মোরগসহ পাপ্পু ও তার স্ত্রীকে ডাকা হয়। পরে মোরগটিকে আটক করা হলে পাপ্পুর স্ত্রী ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাকে জেলে পুরে মোরগকে ছেড়ে দেওয়া হোক’।আ
পরে তিনি অবশ্য মোরগটিকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। জানা গেছে, পাপ্পুরা নিঃসন্তান। কয়েক বছর আগে মোরগটিকে তারা মাত্র ৫ টাকায় কিনেছিলেন। তার পর থেকে তাকে তারা সন্তান স্নেহেই লালন করছেন। পরে অবশ্য পুনম ও পাপ্পুর পরিবার নিজেদের মধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আর এগোয়নি।