
শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তিন বান্ধবীর সাহসী পদক্ষেপে বয়স্ক ডিম ব্যবসায়ীর কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পেলো বান্ধবী মিম । জানা যায়, এ ঘটনার শিকার হয়েছেন, উপজেলার হরিনাবাড়ী এলাকার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী মিম । শুক্রবার (১৭জুলাই) সকাল ৮টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাবাড়ী পুলিশি তদন্ত কেন্দ্রে হাজির হয় ১৩/১৪ বছর বয়সী তিন মেয়ে। তারা পুলিশকে জানায়, হরিনাবাড়ী এলাকার মিম নামে ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকা মেয়েকে জোর করে তার বাবা ও মা রাজশাহীতে নিয়ে যাচ্ছেন, মিমকে নেয়ার জন্য ০১টি মাইক্রো এসেছে। গত ৩ মাস ধরে রাজশাহীর জনৈক জলিল নামে এক লোক (ডিম ব্যবসায়ীর) ভাড়া বাসায় মিমের বাবা ও মা থাকতেন । মিমের বাবা ডিম ব্যবসায়ী বয়স্ককে ডিম বিক্রিতে সহায়তা করতেন । মিমের মা অন্যান্য কর্মচারীদের রান্না করতেন, রান্নার পর মিমকে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দিতেন জলিলের রুমে । জলিলের রুমে যাওয়া আসার সুযোগে মিমের সঙ্গে বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণসহ অস্বাভাবিক ব্যবহার করতে থাকেন । জলিলের ব্যবহার সম্পর্কে মিম বাবা ও মাকে বলার সাহস পায়নি । গত ০৮/১০ দিন আগে মিম তার বাবা ও মা সহ গ্রামে আসলে সেখানে তার বান্ধবীসহ চাচীদের মাঝে বিষয়টি খুলে বলেন। শুক্রবার সকাল ০৭.০০ টায় একটি মাইক্র গাড়ী মিমকে নেয়ার জন্য আসেন। মিম রাজশাহীতে যেতে না চাওয়ায় মিমের বাবা ও মা অধিক টাকা ও বেতনের লোভে মিমকে জোর করে গাড়ীতে তোলার চেষ্টা করেন । এ সময় স্থানীয় লোকজনসহ মিমের আত্নীয়স্বজন ও তিন বান্ধবী মিলে মিমের বাবা ও মাকে নিয়ে যেতে নিষেধ করেন । কিন্তু মিমের বাবা ও মা কাউকে পাত্তা না দিয়ে মিমকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করেন । এমন পরিস্থিতিতে মিমের ৩ বান্ধবী ওই সময় বাধ্য হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশ কে বিষয়টি খুলে বলেন । পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভারের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে কৌশলে গাড়ী ফেরত আনতে বাধ্য করেন। পরবর্তীকালে মিমের মুখে বিস্তারিত শুনে পুলিশ জানতে পায়, রাজশাহীর জনৈক জলিল একজন বয়স্ক লোক। তার ০২ জন বউ ও ২ সন্তানের পিতা, মিমের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, বিয়ে করতে চায়। মিমের মা ও বাবাকে টাকা দিয়েছে আরো দিবেন বলে লোভ লাগিয়ে দেয় । মিমের নিকট থেকে পুলিশ সকল তথ্য নিয়ে মিমকে তার চাচার জিম্মায় হস্তান্তর করেন । এসময় তার বাবা ও মাকে রাজশাহীতে জোর করে না নিয়ে যাবার ব্যাপারে সতর্ক করেন পুলিশ।
এ ঘটনার সত্যতা হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ রাকিব হোসেন নিশ্চিত করেছেন