আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
ঐতিহ্যবাহী নীলফামারীর নীলসাগর পুকুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের “বারুণী স্নানে” সাঁতার কাটতে নেমে সুমন চন্দ্র রায় (১৬) নামের যে যুবক নিখোঁজ হয়েছিল। তার মরদেহ ৪দিন পর আজ রবিবার ভোরে ভেসে উঠেছে। গত বুধবার(৩এপ্রিল) সকাল ৭টায় ওই দিঘিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুমন।
নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের মোনাগঞ্জ গ্রামের সুকুমার চন্দ্র রায়ের পুত্র সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া সুমন চন্দ্র রায়, একই গ্রামের বিপুল চন্দ্র রায় (১৬), অনুকুল চন্দ্র রায় (১৭) ও উত্তম কুমার চন্দ্র (১৬) মিলে পুুকরের পশ্চিম পার থেকে পূর্ব পারে সাঁতরিয়ে আসার জন্য পুকুরে নামে। কিন্তু বিশাল পুকুর সাঁতরিয়ে পার হওয়ার আগেই মাঝ পুকুরে তলিয়ে যায় সুমন। অপর ৩জন কোন রকমে পারে উঠতে পারলেও পারে উঠেই তারাও সজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসেবা দেয়া হয়।
গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম ও একই এলাকার ফুটবলার বিটু জানান, নীলসাগর পুকুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুরু হওয়া ৩দিন ব্যাপী বারুণী স্নানে এসে ওই ৪ বন্ধু সাঁতরিয়ে পুকুর পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নীলফামারী ও রংপুর দমকল বিভাগের ২জন করে ডুবুরি পালাকরে পুকুরের তলদেশে নিখোঁজ সুমনের সন্ধান চালানো হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হতভাগ্য সুমনের কোনে হদিস মেলেনি। এদিকে ১৯৬৬ সালে বারুণী স্নানের সময় একই ভাবে কয়েক বন্ধু মিলে পুকুর সাঁতার কাটতে গিয়ে দিনাজপুর এসএন কলেজের এইচএসসির ছাত্র চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের রোস্তম আলীর পুত্র হাবীব রব্বানী পুকুরে ডুবে মারা যায়।