আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
কথায় বলে, শীতের দিনে কাঁথা, গরম কালে তালের পাখা, আর বর্ষাকালে ছাতা। কালের আবর্তনে ওই সব জিনিষের কদর বাড়ে অনেকটাই। সোমবার সকালে বৃষ্টিতে ভিজে ডোমার বাজারের রেল লাইনের ওপরে বসা ছাতা মেরামতকারীর দোকানে পুরাতন ছাতা নিয়ে নানা বয়সের মানুষের উপচেপড়া ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শত ব্যস্ততার মাঝেও কথা হয় দোকানী নূরুল হকে’র সাথে। ডোমার সদর ইউনিয়নের ছোট রাউতা ২নং ওয়ার্ডের জোড়পাখুড়ী মুন্সি পাড়া গ্রামের মৃত বাচ্চা মিয়ার ছেলে নুরুল হক (৬৫), নিজের জমিজমা নেই। ৩শতক জমির ওপর বাড়ী করে স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে নূরূল হক। ছবি তুলতে গিয়ে প্রশ্ন করলে নূরূল হক হেসে বলেন, ছবি তুলি কি হবে বাহে, হামার খবর কাহোয় নেয় না। মনের কষ্ট মনতে থাকে কাহোয় শুনিবার চায় না। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু বর্ষার দিন আসলে আমাদের পুরাতন ছাতা মেরামতের কাজ চলে। অন্য সময় মানুষের বাড়ীতে দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০/৬০টি ছাতার কাজ করি। এতে করে প্রতিদিন ৪/৫ শত টাকা আয় হয়। সরকারি সুযোগ- সুবিধার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬৫বছর বয়স চলছে তবুও মেম্বার চেয়ারম্যানের চোখে পড়ে না। বয়স্ক ভাতা তো দূরের কথা একটা চাউল বা গমের স্লিপ পর্যন্ত ভাগ্যে জোটে না। বাপ দাদার পৈতৃক পেশা তাই ঘরে বসে না থেকে যা আসে তা দিয়ে সংসার চলে অতি কষ্টে।