ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা রাস্তার ১৬ মাইল নামক স্থানে ঝড়ের কবলে মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেলের সংঘর্ষে এক জন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, শনিবার রাত ৭টার দিকে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মতলেব মন্ডলের ছেলে লিখন মন্ডল (৩৫) মোটরসাইকেল যোগে নিজ গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ফিরছিলেন। একইভাবে, একই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম বারীর ছেলে হাসানুর (২৩) বাইসাইকেল যোগে শ্বশুর বাড়ি কোলা গ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা হলে ১৬ মাইল নামক স্থানে দুজনেই ঝড়ের কবলে পড়ে। সে সময় মেইন রাস্তা থেকে হাসানুর ডান পার্শ্বের রাস্তায় দ্রুত বেগে ঢুকতে গেলে লিখন তার মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসানুরের বাইসাইকেলে স্বজোরে আঘাত করে দুজনেই রাস্তার ওপরে সিটকে পড়ে। এতে লিখনের হেলমেট ভেঙ্গে মাথা থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হাসানুরের ও মাথায় আঘাত লেগে রাস্তার ওপরে পড়ে থাকে। এ সময় একই রাস্তায় চলন্ত অবস্থায় রামচদ্রপুরের ওয়াজেদ রাব্বি ও তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসানুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। লিখন ইবি থেকে ইরেজিতে মাস্টার্স শেষ করে নারায়নগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে চাকরি করছিলো। তিনি সাংসারিক জীবনে এক স্ত্রী ও একটি চার মাসের ছেলে সস্তান রেখে যান বলে জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই রনি মিয়া।
এদিকে, জেলার শৈলকুপা উপজেলার সাতগাছি এলাকায় ট্রাক চাপায় দবির উদ্দিন (৫০) নামের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার সকালে শৈলকুপা-কাতলাগাড়ি সড়কের সাতগাছি খাঁ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দবির উদ্দিন ওই উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেনের ছেলে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি জানান, সকালে দবির উদ্দিন শলকুপা থেকে মোটরসাইকেল যোগে কাতলাগাড়ি যাচ্ছিল। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালি বোঝায় ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় দবির উদ্দিন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে চিকিৎসক। ফরিদপুর নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।