ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের চাকলা পাড়ার আলোচিত মিনি পতিতালয় ও মাদকের গডফাদার রোকেয়া বেগমের (৫০) বিরুদ্ধে এবার সদর থানা, র্যাব-৬ ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে চাকলাপাড়াবাসী। ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় দেড় শতাধিক এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে লিখিত অভিযোগটি সদর থানা, র্যাব-৬ ও পুলিশ সুপারের সাধারণ শাখায় জমা দিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও তাদের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের চাকলা পাড়ার মৃত. মকছেদ আলীর স্ত্রী আলোচিত মিনি পতিতালয়ের গডফাদার রোকেয়ার পুত্র রোকন, খোকন, শিপন ও তার পুত্রবধুদেরসহ দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ত্রাসীদের হস্তগত করে মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি বহিরাগত অসৎ চরিত্রের মহিলাদের এনে নিজ বাড়ীতে রেখে দেহ ব্যবসা করে। এলাকার কেহ প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর, খুন ও জখম করার হুমকি দেয়। বহুবার পুলিশ ও র্যাবের হাতে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার হয়েছে। রোকেয়াসহ তার পুত্রদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
তারা কারামুক্ত হয়ে পুনরায় পুরোদমে মাদক ব্যবসা চালায়। ইদানিং মাদক ব্যবসার পাশাপাশি বহিরাগত অসৎ চরিত্রের মহিলাদেরেএনে নিজ বাড়ীতে রেখে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। এতে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দিনে -রাতে খারাপ চরিত্রের মহিলা ও পুরুষদের আনাগোনায় এলাকার জনগণ বিরক্ত হয়ে উঠছে। পতিতালয়ের গডফাদার রোকেয়ার কারণে এলাকার স্কুল কলেজের মেয়েরা বিপথগামী হচ্ছে। ঠিকমত লেখাপাড়া করতে পারে না। রোকেয়ার অন্যতম সহযোগী চাকলাপাড়ার মৃত. জবেদ সাপুড়ের মেয়ে নাজমা খাতুন (৩৫) বর্তমান জগোর মোড় মুকুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া। এলাকাবাসী রোকেয়াকে এসব অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তার পোষা সন্ত্রাসী দিয়ে খুন করাসহ মিথ্যা নারী কেলেংকারীতে ফেলার ও গোপনে বাড়ীতে মাদকদ্রব্য রেখে পলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
চাকলাপাড়ার মির্জা মহল এলকার (উত্তর চাকলা পাড়া) নবগঞ্জ নদীর পাশে বসবাসরত এলাকাবাসীদের মধ্যে সুসান্ত সরকার, মামুদুল করিম দুদু, রাসেদ হাসান পারাগ, জিবন ডাক্তার, প্রাশান্ত সরকার, আরতি রানী কর্মকার, শাহানা ও রুমী খাতুন সাংবাদিকদের জানান, গত ১০/০২/২০১৯ তাং বেলা অনুমান ১২.০০ টার সময় বিবাদীর সহযোগী নাজমা খাতুনকে বহিরাগত পর পুরুষকে নিয়ে মিনি পতিতালয় খ্যাত রোকেয়ার বাড়ীতে ঢুকিতে দেখে স্থানীয়রা। তখন রোকেয়া তার বাড়ীর গেট থেকে তাদের ভিতরে নিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় প্রচার হলে আমরা এলাকার শান্তি প্রিয় জনসাধারণ রোকেয়ার বাড়ীতে গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় নাজমা ও বহিরাগত পুরুষকে দেখতে পাই। এ বিষয়ে রোকেয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হলে রোকেয়ার মোবাইল ফোনে তার অনুগত কিছু সন্ত্রাসীদের ডেকে এনে আমাদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। সাথে সাথে সহযোগী নাজমা ও বহিরাগত পুরুষকে কৌশলে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে এলাকায় দেহ ব্যবসা কারী রোকেয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে চাকলাপাড়াবাসী। বিষয়টি এলাকার আপামর জনসাধারণ সবাই অবগত আছে বলেও অভিযোগটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে চাকলাপাড়ার (গাং পাড়া) মৃত. জমির হোসেনের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে রোকেয়া বেগম গত ১৩/০২/২০১৯ তারিখ বুধবারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (খ) ধারায় ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত তার নালীশটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।