চকরিয়া প্রতিনিধি>> কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নে রির্জাভ জায়গা দখল নিতে রাতের আধাঁরে মৌলভী বেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে নিজের বোন ও ভগ্নিপতিকে বেদড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টার সময় খুটাখালীর উত্তর মেদাকচ্ছপিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,মৃত মাওলানা আহমদ হোসাইনের মেয়ে আফরোজা খানম (৩৬) ও তার স্বামী শামীম উদ্দিন আবু(৪১)।
ভুক্তভোগী আহত অভিযোগকারী আফরোজা খানম জানান,আমার পিতা মৃত্যূর পূর্বে আমাকে পিতার বসতভিটা থেকে কিছু জায়গা দিয়ে আমাকে একটি ঘর তৈরি করে দিয়েছিল।আমি উক্ত রির্জাভ জায়গায় দীর্ঘ দেড়যুগ যাবৎ বসবাস করে আসছি।পিতার মৃত্যূর পর থেকে আমার ভাই হায়দারনাশী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলভী বেলাল উদ্দিন আমাকে জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল করতে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে।তারই ধারবাহিকতায় গত ১৫এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এসে অনাধিকারে আমার বাড়ীতে ঢুকে আমিসহ আমার স্বামীকে ইচ্ছামত শক্ত কাঠ ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে মারধর করেছে।এসময় আমার বাড়ীতে থাকা টাকা পয়সাসহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে গেছে।মারধর করা অবস্হায় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা আমার ঘরের দরজার বাহির থেকে লক করে দিয়ে চলে যায়।এমতাবস্হায় আমার স্বামী নিরূপায় হয়ে ভায়রাকে ফোনে বিষয়টি জানায়।তখন তিনি রাতের ঘটনায় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে তিনি এবং চকরিয়া থানার এসআই ফারুকসহ একদল পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধারপূর্বক চকরিয়া স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা করতে পাঠায়।তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা বাড়ী থেকে সরে যায়।হামলাকারীরা হলেন,আমার বড় ভাই মৌলভী বেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী জুবাইদা বেগম,নুর উদ্দিন ও তার স্ত্রী ইছমত আরা তানিয়া ও রমিজ উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪জন লোক।
তিনি আরো জানান,আমার ভাই মৌলভী বেলাল যে রাষ্ট্রদ্রোহী কয়েকটি মামলার কারাভোগকারী আসামী এলকার সবাই জানে।
আফরোজা খানমের স্বামী শামীম উদ্দিন আবু জানান,আমার শ্বশুরের দেওয়া রির্জাভ বসতভিটার জায়গাটি কেড়ে নিতে অভিনব কৌশলে একের পর এক ঘটনা বা নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ ফ্রেরুয়ারি তারিখে তারা দলবদ্ধ হয়ে আমার বসত ঘরটি ভাংচুর করেছিল।এর অভিযোগ এখনো চকরিয়া থানার এসআই সায়েম হাতে তদন্তাধীন রয়েছে।এর পূর্বে গত ২০২০সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে আমার বসত ঘর আগুন দিয়ে এক তৃতীয়াংশ পুড়িয়ে দিয়েছিল।আজ ১৫এপ্রিল রাতে আবারো ঘরে ঢুকে আমি ও আমার স্ত্রীকে বেদড়ক মারধর করেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া রয়েছে,যা এখনো বিচারাধিন আছে।কোনো বিচার মৌলভী বেলাল না মেনে বৈঠক থেকে উঠে চলে আসে।১৫এপ্রিল ঘটনার করে চলে যাওয়ার সময় তিনি আবারো হুমকি দেন। আমি বাড়ী-ঘর ও বসতভিটা ছেড়ে দিয়ে চলে না গেলে, সর্বশেষ যেটা করার প্রয়োজন তাই করবে।এছাড়া এবিষয়ে থানায় অভিযোগ ও মামলা করলে পরিণতি খারাপ হবে। এছাড়াও জায়গাটি না নেওয়া পর্যন্ত আজরাইল আসলেও ছাড় দিবে না বলে হুমকি প্রর্দশন করেন।
চকরিয়া থানার এস আই ফারুক বলেন, ৯৯৯ এ ফোন করে মারধর বাড়ী অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ দিলে,তারই সূত্র ধরে ঘটনাস্হলে যাই।এসে স্বামী ও স্ত্রী দুইজনকে ঘরের ভিতরে আহত অবস্হায় দেখতে পাই।পরে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্হা করি।এসময় স্হানীয় লোকজন থেকে জানতে পারলাম,সামান্য মাটি কাটা নিয়ে ভাই ও বোনদের মধ্য এ ঘটনাটি ঘটেছে।তাই আহতদেরকে থানায় অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
