অনলাইন ডেস্ক >> গাজীপুরে কোটি টাকার ভেজাল ওষুধসহ এক কারখানা মালিককে আটক করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরীর ভুরুলিয়া এলাকা থেকে এসব ভেজাল ওষুধ ও তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার আরিফুল হক জানান, সরকারি অনুমোদন ছাড়া মানুষের ও পশুর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছিল একটি চক্র। তারা কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের সঙ্গে কৃত্রিম রং মিশিয়ে মানুষের রক্ত শুদ্ধিকরণ বটিকা, চর্মরোগের মলম, যৌনশক্তি বৃদ্ধিকরণ বটিকা, চুলপড়া বন্ধের তৈল, হাঁস-মুরগি ও কবুতরের বসন্ত, রাণীক্ষেত এবং ডাক প্লেগ এর ওষুধ তৈরি করে তা সারা দেশে বিতরণ করে আসছিল।
এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকারের নেতৃত্বে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের কেমিক্যাল, ভেজাল ওষুধ ও মোড়কসহ বিভিন্ন কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়।
এ সময় কারখানার মালিক রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানা এলাকার রাণীপুকুর গ্রামের মৃত আকমল হোসেনের ছেলে রাব্বানী (৩৮) ও পশ্চিম ভুরুলিয়ার ময়লার টেক এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুস সালামকে (৪২) আটক করা হয়।
একই সময় উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শরিফুর রহমান জানান, নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার বর্ষা সিনেমা হলসংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে ওসমান গণি (২২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বানানোর কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, ক্যামেরা, লেমিনিটিং মেশিন জব্দ করা হয়।
ওসমান গণি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার বরইকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনিসহ একটি চক্র ৫শ’ টাকার বিনিময়ে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে আসছিল।