ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
অবশেষে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামুন্দা রেলগেট সংলগ্ন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আসামি সনাক্তসহ ২জন গ্রেপ্তার এবং খোয়া যাওয়া কিছু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করছে পুলিশ। বৃহস্পতবিার কোটচাঁদপুর বড়বামুন্দ গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে গ্রেপ্তারকৃৃত কবির হোসেন শান্ত (২১) আদালতে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। এর আগে ৪ মে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেইনবাসষ্ট্যাণ্ড খান আবাসিক হোটেল থেকে শৈলকুপা উপজেলার চরমালিথিয়া গ্রামের মৃত মান্নানের ছেলে সবুজ শেখকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত অফিসার (ওসি তদন্ত) ইমরান আলম। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতির সময় খোয়া যাওয়া স্বর্ণলংকারের মধ্যে ১টি চেইন, ২ জোড়া কানের দুল। গত ২৮ এপ্রিল ওসি তদন্ত হিসেবে কোটচাঁদপুর থানায় যোগদান করেন ইমরান আলম। তিনি যোগদান করেই প্রথম মামলার তদন্তভার নিয়ে তড়িৎ গতিতে ডাকাতির আসামী সনাক্ত করে, আসামি গ্রেপ্তারসহ মালামাল উদ্ধার করেন।
মামলার বাদি বাবলুর রহমান সন্তুষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিগত দিনে কোটচাঁদপুরে একাধিক ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনার লুটকৃত মালামাল উদ্ধার তো দূরে থাক প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি পুলিশ। যে কারণে আমি এই মামলা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। তবে পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) ইমরান আলম তিনি দ্রুত আসামী সনাক্ত করে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করাসহ স্বর্ণালংকার কিছুটা উদ্ধার করায় পুলিশের প্রতি আবার আস্থা ফিরে এসেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমরান আলম জানান, গত ৩০ মে এই থানায় দস্যুতার মামলা হয়। মামলায় ৪জন অজ্ঞাত আসামি ছিল। মামলা গ্রহণের পরপরই ঘটনার সাথে জড়িত ৪জনকে আমি সনাক্ত করে ফেলি। শুরু করি অভিযান। এরই মধ্যে গত ২ মে দিনগত গভীর রাতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে এ মামলার প্রধান আসামি উপজেলার রেলস্টশেন এলাকার আত্তাপ মন্ডলের ছেলে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ডাবলু নিহত হয়। বাকি ৩ জনের মধ্যে ইতোমধ্যেই ২ জনকে গ্রেপ্তারসহ লুটকৃত কিছুু স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।