অনলাইন ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে সংবাদ মাধ্যমের অনুপস্থিতির কথা ভাবাই যায় না। কেননা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কাঠামোয় গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যম পরস্পর হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। সঙ্গত কারণেই সাংবাদিকতাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।
মঙ্গলবার আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত ‘আইনে তারুণ্য’ নামক সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গ্রন্থে প্রকাশিত সাক্ষাতকারগুলো নিয়েছেন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম রাইজিং বিডির সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক মেহেদী হাসান ডালিম।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমাজের অসঙ্গতি দূরীকরণে এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকতা তথা গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মানুষের জানার অধিকার এবং গণমাধ্যমের তথ্য জানানোর গভীর দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সামাজিক অঙ্গীকার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। একজন দক্ষ সাংবাদিক একটি সংবাদ ঘটনার বয়ানকারি এবং একজন দক্ষ যোগাযোগকারী। সাংবাদিকরা সাধারণ জনগণ তথা বিচারপ্রার্থী জনগণের আশা-আকাঙ্খা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করার গুরু দায়িত্ব পালন করে। ফলে আইনাঙ্গনের সাথে সাংবাদিকতার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিষ্ট।
তিনি বলেন, ‘আইনে তারুণ্য’ নামক সংকলনে উদীয়মান তরুণ আইনজীবীদের জীবনের ছোট ছোট গল্প এবং আইন পেশায় তাদের বিচরণের বাস্তব গল্পগুলো সাবলীল ভাষায় ফুটে উঠেছে। অনেক তরুণ আইনজীবী অনেক কষ্ট সংগ্রাম করে সফলতার বর্তমান ধাপে উপনীত হয়েছেন। তাদের এই বাস্তব গল্পগুলো নবীন আইনজীবীদের জন্য প্রেরণার উৎস এবং সঠিক পথের নির্দেশক হবে বলে আমি মনে করি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার, রাইজিংবিডি ডটকম এর প্রকাশক এস এম জাহিদ হাসান, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সাঈদ আহমেদ খান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু প্রমুখ।