
সুজন মহিনুল, নীলফামারী প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারকালে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট দুই নম্বর আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ক্যাম্পের কাছে শনিবার
(২০ ফেব্রুয়ারি)দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে উভয় দলের ২০ জন আহত ও বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় দুটি দলের পক্ষেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট।
দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভুলু অভিযোগ করে জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার ২ নম্বর উর্দুভাষী (বিহারী) ক্যাম্প এলাকায় ঘটনার দিন রাতে নির্বাচনের প্রচারণা চালান জাপার লাঙ্গল প্রতিকের মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম। সেখানে নৌকার সমর্থকদের কটাক্ষ করে বক্তব্য ও প্রতিহত করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ফেরার পথে জাতীয় পার্টির পৌর মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম ও সমর্থকরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি জিপ গাড়ি ভাঙচুর করে ও তাঁর দুই কর্মীকে আহত করে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাঙচুর করেছে তারা।
জাপার মেয়র প্রার্থীর সিদ্দিকুল আলমের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হিটলার চৌধুরীর নেতৃত্বে অতর্কিত এ হামলা চালানো হয়েছে। এসময় তারা আমার সমর্থকদের ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জাপার দশজন কর্মী আহত হয়। তিনি হিটলার চৌধুরীর বাড়ির হামলার বিষয়টি অপবাদ বলে দাবি করেন।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তিনি জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকায় তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৫জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন নৌকা প্রতিকের রাফিয়া জাহান আক্তার বেবী, লাঙ্গন প্রতিকের সিদ্দিকুল আলম, ধানের শীষের রশিদুল হক সরকার,ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার নুরুল হুদা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতিকের রবিউল আউয়াল রবি।