crimepatrol24
১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সন্ধ্যা ৬:২৪ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

রংপুরে থমকে গেছে হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ (পর্ব-২)

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জুলাই ১৬, ২০২০ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ

মো. সাইফুল্লাহ খাঁন,জেলাপ্রতিনিধি,রংপুর :
রংপুরে গেল আড়াই বছরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজই করা হয়নি। গত ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নগরীর খলিশাকুড়িতে আট একর খাস জমি বন্দোবস্ত করেন রংপুর জেলা প্রশাসন। দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদও শেষ হয়েছে। অথচ গেল আড়াই বছরে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজই হয়নি। এ প্রকল্পের আওতাধীন বাকি জেলাগুলোতে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কাজ পড়ে আছে শুধু রংপুরে।

বহুল প্রত্যাশিত এ হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ রংপুরবাসী। হাইটেক পার্ক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুরে প্রায় ১০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে বলে প্রযুক্তিবিদ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের খলিশাকুড়ি এলাকায় হাইটেক পার্কের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পিলার (খুঁটি) আর কাটা তার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে অধিগ্রহণকৃত জমি। এছাড়াও সড়কের ওপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে প্রকল্পের তথ্য সংবলিত একটি সাইনবোর্ডও।

খলিশাকুড়ির বাসিন্দা জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা আলহাজ্ব মোফাজ্জল হক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রংপুরে কথা বলার মতো যোগ্য জনপ্রতিনিধি না থাকায় প্রায় সময়েই এ অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত। এলাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এলাকার ঐতিহ্যবাহী খলিশাকুড়ির হাটটিও সময়ের আবর্তনে আর নেই। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো এই মৌজায় সরকারি প্রতিষ্ঠান তো দূরের কথা, কোনো প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নেই। সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত হলেও এখন পর্যন্ত এ এলাকার বাসিন্দারা সরকারের সুনজরের বাইরে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া জানান, প্রযুক্তিনির্ভর এই হাইটেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযোগের দুয়ার খুলে দেবে। হাইটেক পার্ক বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের যুবকরা কাজের সুযোগ পাবেন। আইটি বিভাগ আরও প্রসারিত ও জনবান্ধব হবে। ফলে বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে। জাতীয় রাজস্ব আয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে এ পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া আরও জানান, সংসদ সদস্য থাকাকালীন নিজ প্রচেষ্টায় সংসদে রংপুরে হাইটের্ক পার্কের বিষয়টি সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেছি। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আসেন হাইটেক কর্তৃপক্ষের ডিজি হোসনে আরা বেগম। প্রকল্পটি ভারত ও চীন সরকারের সহায়তায় শুরু হয়েছিল। সরকারের বিবেচনায় কাজটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরলে আবারও কাজটি শুরু হয়ে দ্রুত সময়ে শেষ হবে।

এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে কি না বিষয়টি অফিসিয়ালি খোঁজ নিতে হবে। রংপুরে হাইটেক পার্ক হবে এবং এই সরকারের আমলেই হবে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজটি শুরু করার সুযোগ আছে। করোনাকালীন সময়ে কাজগুলো ধীরে হলেও রংপুরবাসীর হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়