crimepatrol24
৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় ভোর ৫:১৩ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

বরগুনায় স্ত্রীকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হ*ত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃ*ত্যুদণ্ড

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
অক্টোবর ৭, ২০২৫ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

 

ক্রাইম পেট্রোল ডিজিটাল ডেস্ক।।
বরগুনায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হ*ত্যার দায়ে স্বামী, সতীন ও মেয়ের জামাইকে মৃ*ত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ রায় প্রদান করেন বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস। রায় প্রদানকালে আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার (৫৯), তার ২য় স্ত্রী এলাচী বেগম (৫০) ও এলাচী বেগমের ছেলে সুজন। সুজন একই গ্রামের মোস্তফার ছেলে (৪০)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর পূর্বে মহিমা বেগমকে বিয়ে করেন কবির তালুকদার। যৌতুকের দাবিতে মহিমাকে নি*র্যাতন করতেন কবির। এছাড়াও মেয়ে রেখা বেগমের শাশুড়ি আসামি এলাচি বেগমের সঙ্গে অ*নৈতিক সম্পর্ক ছিল কবিরের। তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় রেখার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে রেখা বেগম রাগে-ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন। তার মৃত্যুর ৩ থেকে ৪ বছর পর প্রথম স্ত্রী মহিমা বেগমের অমতে এলাচি বেগমকে ২য় বিয়ে করেন কবির তালুকদার। তাদের বিয়ে না মানায় মহিমা বেগমকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং নির্যাতন চালাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি আত্মহত্যা করার জন্য বিষপান করেন। এতে তিনি বেঁচে গেলেও পরবর্তীতে আসামিরা মহিমা বেগমকে হ*ত্যার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মহিমাকে হ*ত্যা করেন।

এ ঘটনায় মামলা করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কবির তালুকদার এবং নিহত মহিমা বেগমের ছেলে হেলাল তালুকদার।

এ বিষয়ে মামলা পরিচালনাকারী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নি*র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর হোসনেয়ারা শিপু জানান, ‘সাক্ষ্যপ্রমাণে পরিকল্পিত হত্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন এবং অনাদায়ে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।’

মামলার রায় শুনে বাদী হেলাল তালুকদার বলেন, রায়ে আমি আদালতের প্রতি সন্তুষ্ট। আমি আমার মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি হওয়ায় আইনকে শ্রদ্ধা জানাই।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত