crimepatrol24
২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সন্ধ্যা ৬:৪৪ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ডোমারে ধানের দাম না থাকলেও সব্জি বাজারে আগুন

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
মার্চ ২৫, ২০১৯ ৩:২৮ অপরাহ্ণ

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর জেলার ডোমারে ধানের মূল্য না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকরা। দিনে দিনে ধানের দাম পরতির দিকে থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষককে। আমন ধান ডিসেম্বর মাসে কৃষকরা ঘরে তুললেও নায্যমুল্য না থাকায় বেশিরভাগ কৃষকের ঘরেই রয়ে গেছে ধান। শুধু সংসদ নির্বাচনের দুইদিন পর ধানের মন ৭শত টাকা দরে বিক্রি হলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে কমতেই আছে ধানের দাম।
বর্তমানে এক বস্তা ধানের দাম ১১শত থেকে ১১শত ৪০টাকা। যা কৃষকের উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম। ১মন ধান উৎপাদন করতে প্রায় ৫শত ৫০টাকা পড়ে যায়, সেখানে ধানের মন বিক্রি করতে হচ্ছে ৫শত ৫০টাকা দরেই। ধানের দাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে ধানের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো। এখনো অনেকের ঘরেই রয়ে গেছে ধান। এদিকে আর কিছুদিন পরেই উঠবে নতুন ধান। আমন ধান বিক্রি না করতেই নতুন ধান ঘরে উঠলে বিপাকে পড়ে যাবে কৃষকরা।

কৃষক শফিকুল জানান, কী কারণে ধানের দাম নেই সেটা মাথায় আসছেনা। এদিকে ধানের দাম না থাকলেও ধান উৎপাদনের জন্য সার,কীটনাশক, ভিটামিনসহ পানির উচ্চমূল্যে নাভিশ্বাস উঠেছে কৃষকদের। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো হয়ে পড়ছে অসহায়। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেশিরভাগেই ধানের ওপর নির্ভরশীল। ধানের নায্যমূল্য না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন জানান,বর্তমানে ধানের বাজারমূল্য একেবারে কম হলেও সেই তুলনায় চালের দাম কমেনি। কমেনি ২৮ বা মিনিকেট চালের দাম। অপরদিকে, ধানের দাম না থাকলেও বেড়েছে তেল ও আটার দাম। কাঁচামালের বাজারেও লেগেছে আগুন। পটল ৭০টাকা, পাটশাক ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, সজিনা ১২০টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। মাংসের দামও বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৬০/৪৮০ টাকা দরে। প্রতিদিনই ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনেই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।

অনেক কৃষক জানিয়েছেন, এবারো ধানের নায্যমূল্য পাওয়া না গেলে ধানের আবাদই তারা ছেড়ে দিবেন।

প্রান্তিক কৃষক মজনু মিয়া বলেন, প্রতিবিঘা জমিতে পানি দিতে ২হাজার টাকা লাগে। আবার প্রতি বিঘা ধান কাটতেও লাগে প্রায় ২ হাজার টাকা। তিন দফায় সার দিতে হয়। দিতে হয় থিয়োভিট ও কীটনাশক। এসবের পরেও ধানে নানা রোগ-জীবানুর আক্রমন রয়েছে। সেখানেও লাগে টাকা। দেখা যাচ্ছে উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক সময় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ধান। সে কারণে ধানের বদলে সব্জি আবাদে অনেক মুনাফা করা সম্ভব বলে আশা করেন তিনি।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল