আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক গৃহবধূর ছবি ফেসবুকে দিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ওই লম্পটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূর স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত- তছো মামুদের ছেলে লম্পট নুর মোহাম্মদ (৩২) প্রতিবেশী এক কৃষকের স্ত্রীর প্রতি লুলুপ দৃষ্টি পড়ে। কারণে- অকারণে প্রায় সময় লম্পট নুর মোহাম্মদ গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। গৃহবধূ তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। গৃহবধূর স্বামী নুর মোহাম্মদকে গালমন্দ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এতে করে নুর মোহাম্মদ কৌশলে গৃহবধূর ছবি তুলে গত ২০ সেপ্টেম্বর তার নিজ ফেসবুক আইডি ঘঁৎ গড়যধসসধফ থেকে গৃহবধুর ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেয় এবং তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হলে নুর মোহাম্মদ পোস্টটি ডিলেট করে দেয়। তা নিয়ে তাদের স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ভীষণ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। প্রায় তাদের সংসার ভাঙার উপক্রম হয়।এ বিষয়ে নুর মোহাম্মদকে বলতে গেলে সে হুমকি দিয়ে বলে যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে গোছল করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবো। তার এই হুমকির ফলে দম্পতি ভীষণ চিন্তায় দিনাতিপাত করছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ডোমার থানায় নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি আমলে নিয়ে এসআই জামিরুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে, নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান বাদল বলেন, নুর মোহাম্মদ একজন উগ্রমেজাজী ছেলে ।প্রায় সময় মানুষের সাথে ঝগড়া- বিবাদ করে। তিনি ফেবুকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নুর মোহাম্মদ তার মোবাইল ফোনটি অন্যের কাছে বিক্রি করেছে, সে এই পোস্টটি দিতে পারে।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, নুর মোহাম্মদ একজন লম্পট ও চরিত্রহীন ছেলে। বাদল মেম্বারে ক্ষমতার দাপটে এলাকায় কাউকে সে পরোয়া করে না। যার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। টাকার দাপটে গ্রামের নিরীহ মানুষকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।