ক্রাইম পেট্রোল ডেস্কঃ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানই কারফিউ দিয়ে দেশকে কারাগার বানিয়ে রেখেছিলেন এবং ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান যাদের সংক্ষিপ্ত বিচার ও বিনাবিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারের সদস্যরা আজও কাঁদছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উল হকসহ সংগঠনটির নেতারা হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের শীর্ষ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
গতকাল (সোমবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান বলেন, ‘গোটা দেশ এখন কা’রাগার। ক্ষমতায় থাকার নেশা পেয়ে বসলে সরকার এমন একটি পর্যায়ে উপনীত হয় যে, দেশের মানুষের কথা ভুলে যায়। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য খু’ন, গু’ম ও অ’ত্যাচার শুরু করে। বাংলাদেশে এখন সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
আজ এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘ড. মঈন খান হয়ত ভুলে গেছেন, তার বাবা তখন জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। তখন পুরো দেশে কারফিউ দিয়ে রাখা হতো। রাত ১০টার পর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম শহরসহ বড় বড় সব শহরে কারফিউ থাকত। পুরো শহর ছিল কারাগার। কারফিউ মানেই তো কারাগার। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। আজকে কি সেই পরিস্থিতি আছে! মঈন খান জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, তার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই- তার বাবার আমলটা যদি একটু মনে করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে তিনি তার বাবার আমলের কথা বলেছেন অর্থাৎ জিয়ার আমলের কথা, যখন পুরো দেশটাকে কারাগার বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে গু’ম, খু’ন শুরু করেছিল উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গু’ম করা হয়েছিল, খু’ন করা হয়েছিল, মানবাধিকার ল’ঙ্ঘন করা হয়েছিল। যাদের ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সংক্ষিপ্ত বিচার এবং বিনাবিচারে ফাঁ’সিতে ঝু’লিয়ে হ’ত্যা করেছিল, তাদের পরিবারগুলো ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের সদস্যরা রাস্তাঘাটে কেঁদে বেড়াচ্ছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মঈন খান সাহেবসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারাটা ভালোভাবে দেখার জন্য এবং তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনকার পরিস্থিতি একটু মনে করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাই। এই দেশে অ’পরাজনীতি, গু’ম, খু’ন এগুলো বিএনপি করেছে এবং জিয়াউর রহমান এই পুরো দেশটাকে কা’রাগার বানিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াও বানানোর চেষ্টা করেছে। নিশ্চয়ই মনে আছে, অবরোধের নামে তারা একশ দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল, সেটাও তো দেশকে কারাগার বানানো। সুতরাং এই অ’পরাজনীতি তারাই করে।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দু’র্নীতি দমন কমিশনের মামলার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি কাগজে দেখেছি যে, নকশা বহির্ভূতভাবে সেরিনা হোটেল ১৫ তলার অনুমোদন নিয়ে ২১ কী ২২ তলা করা হয়েছে। ১৫ তলার অনুমোদন নিয়ে ২২ তলা করলে সেটা তো গ’র্হিত কাজ, আ’ইনবহির্ভূত কাজ। সেটিই দুদক খুঁজে বের করেছে এবং মামলা করেছে। যারা আইন প্রণেতা হতে চায়, তাদের তো আ’ইনবহির্ভূত কাজ করা উচিত নয়। এ ধরনের কাজ উনাদের আরও অনেকেই করেছেন। সেগুলোও আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসবে।’
