
আনিছুর রহমান মানিক, নীলফামারী>>
নীলফামারীর জলঢাকায় দাফনের ১মাস পর ময়না তদন্তের জন্য আছিয়া বেগম (৬০) নামের এক গৃহকর্মীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টায় উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের কবরস্থান হতে ওই লাশ উত্তোলন করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম”র নেতৃত্বে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা, নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রুহুল আমিন, নীলফামারীর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, স্বামী পরিত্যাক্তা আছিয়া বেগম দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জলঢাকা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেলের ছোট ভাই ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন শাহীনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। চলতি বছরের ৩০ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়। পরের দিন ওই গৃহকর্মীর মেয়ে আরজি ও ছোট ভাই বাচ্চু মিয়া তার বোন আছিয়া বেগমকে কাঠালী ইউনিয়নের ঈদগাঁ মাঠ কবরস্থানে দাফন করে। তবে এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় দাবি তুলে ২ জুলাই নীলফামারী আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন উক্ত গৃহকর্মীর বিমাতা ভাই আশরাফুল। ওই মামলায় তিনি তার বিমাতা বোন আছিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে ৫জনকে আসামী করেন। আসামীরা হলেন ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন শাহীন ও তার স্ত্রী , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল, কাঠালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তুহিন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান। ওই মামলার শুনানীতে আদালত কবর হতে লাশ উত্তোলন ও ময়না তদন্তের রির্পোটের উপর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জলঢাকা থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে সকল প্রকার প্রস্তুুতি শেষে বুধবার সকালে কবর হতে লাশ উত্তোলন করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্তের রির্পোট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।