কক্সবাজার প্রতিনিধি>> কক্সবাজারের চকরিয়ায় বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায় প্রতিপক্ষ।এতে এস এস সি পরীক্ষার্থীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। বুধবার (২ জুন) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নস্থ মাইজপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন, ওই এলাকার মাস্টার নেজাম উদ্দিনের স্ত্রী নাছরিন সোলতানা রিটা (৩৮), তার স্বামী নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও তাদের ছেলে এস এস সি পরীক্ষার্থী ছালেকুর রহমান শরীফ (১৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডস্থ মাইজপাড়া এলাকার মাস্টার নেজাম উদ্দিন তার পৈত্রিক জায়গায় বসতি নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছে। বিগত কয়েক মাস ধরে ভাই নাছির উদ্দিন তার দখলীয় জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তাছাড়া বিরোধীয় জায়গার বিষয়ে থানায় অভিযোগ চলমান রয়েছে। সালিশী বৈঠকে ভাই নাছির উদ্দিনকে ডাকা হলে তিনি কোন ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে উল্টো নেজাম উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। বুধবার সকালে সীমানা বিরোধ নিয়ে মাষ্টার নেজাম উদ্দিনের পরিবারের সাথে তর্কে জড়িয়ে যান নাছির উদ্দিন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে নাছির উদ্দিন, তার ছেলে ওয়াহিদুর রহমান হিরু, তার ভাই পারভেজ ও নাছিরের স্ত্রী খালেদা বেগম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মাস্টার নেজাম উদ্দিনের পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এতে তাদের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাস্টার নেজাম উদ্দিনের স্ত্রী নাছরিন সোলতানা রিটা (৩৮), তার স্বামী নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও তাদের ছেলে এস এস সি পরীক্ষার্থী ছালেকুর রহমান শরীফ (১৬) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
আহত নাছরিন সুলতানা রিটা জানায়, তাদের বসতভিটার সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা আসছিল নাছির উদ্দিন ও তার পরিবার। সকালে অতর্কিতভাবে সীমানা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো দা, ছুরি ও কিরিচ নিয়ে হত্যার চেষ্টায় আমাকে ও আমার ছেলে এবং স্বামীর ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। হামলার ঘটনার সময় তারা আমাদের ব্যবহৃত মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা এসে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে বলে তিনি জানায়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।