
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি >>
ঝিনাইদহে রাস্তা বিহীন খালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ৩১ লাখ টাকার ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রীজটি অবশেষে এলাবাসির কাজে লাগলো। ব্রীজের পূর্বদিকে ৪ শতক জমি কিনে অবশেষে রাস্তা তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাছা কুতুবপুর গ্রামের সিরিষকাঠ খালে ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যায়ে ব্রীজটি নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। স্থানীয় গ্রামবাসিদের ভাষ্যমতে কুতুবপুর গ্রাম পার হয়ে ডেফলবাড়িয়া গ্রামে আসতে কোন রাস্তা ছিল না। নির্মিত ব্রীজ ও খালের ১০০ গজ পুর্ব দিকে আব্দুলের বাড়ির কাছে সরকারি রাস্তাটি শেষ হয়েছে। ডেফলবাড়ি গ্রামের যে অংশে ব্রীজটি শেষ হয়েছে সেখানে একটি পুকুর ও বাঁশ বাগান। কোন রাস্তার চিহ্ন ছিল না। অথচ রাস্তা বিহীন স্থানে ব্রীজ করা হয়। এ নিয়ে পত্র- পত্রিকায় গত জানুয়ারি মাসে একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরের সূত্র ধরে তদন্তে নামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। অবশেষে মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর ও সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের উদ্যোগে ৪ শতক জমি কেনা হচ্ছে।
জমির মালিক সানারুদ্দীন ও গোলাপ মন্ডল খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলিম উদ্দীন জমি কেনার ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলেছেন। ৪ শতক জমি দেড় লাখে তারা বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন। টাকা ও ঘর তৈরীর জন্য টিন পেলেই তারা রাস্তার জন্য জমি ছেড়ে দিবেন বলে গোলাপ মন্ডল জানান।
ডেফলবাড়ি গ্রামের তোতালেব মন্ডল অভিযোগ করেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গায়ের জোরে এই ব্রীজ করেছেন, যা কোন কাজে আসছিলো না। সাংবাদিকরা নিউজ করার পর সরকারের ওপর মহলের চাপে এখন রাস্তা বের করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কলিম উদ্দীন জানান, আমরা খুব দ্রুত টাকা পরিশোধ করে রাস্তা তৈরি করে দেব।
মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর বলেন, কিন্তু আমি চেয়ারম্যান হতে পারিনি বলে কাজটি থেমে ছিল। তারপরও আমি রাস্তা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
সাবেক ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, রাস্তাটি নির্মিত হলে ব্রীজ দিয়ে দুই গ্রামের মানুষ চলাচল করতে পারবে।