crimepatrol24
২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১১:০৯ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

করোনা উপসর্গ নিয়ে কুয়েত প্রবাসি ঝিনাইদহ সদরের ড্রাইভারের মৃত্যু!

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
মে ২৭, ২০২০ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ


জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
কুয়েত প্রবাসি ঝিনাইদহ সদরের বংকিরা গ্রামের ও সাবেক চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের সিনিয়র ড্রাইভারের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর ধরে কুয়েতের জাহারা অঞ্চলে চাকুরি করে আসছিল ঝিনাইদহ শহরের টিভি সেন্টার পাড়া ও সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের মোকাম মন্ডলের ছেলে লোকমান হোসেন (৫০)। লোকমানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন আরেক কুয়েত প্রবাসি ইজাজুল হক। তিনি মুঠোফেনে গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত প্রায় ১৫ দিন পূর্বে কুয়েতের জাহারা এলাকায় লোকমানের নিজ ভাড়া বাড়িতে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে করোনা উপসর্গ নিয়ে সে জাহারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে জাহারা হাসপাতাল থেকে কুয়েত সিটি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে লোকমানকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গত ২৩ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে তার ভগ্নিপতি শরিফুল ইসলাম জানান, লোকমান হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মাত্রায় ডায়াবেটিক রোগে ভুগছিলেন। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে লোকমান ঝিনাইদহ শহরের টিভি সেন্টার পাড়ার বাড়িতে থাকা তার ২ স্বী ও ৪ কণ্যা সন্তান রেখে যান। এদিকে প্রবাসে লোকমানের করোনায় মৃত্যুর পর কুয়েতের জাহারা এলাকায়, তার গ্রামের বাড়ি বংকিরা ও তার শহরের বাড়ি ঝিনাইদহ টিভি সেন্টার পাড়ায় এবং এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। উল্লেখ্য, লোকমান ২০ বছর পূর্বে প্রায় ১০ বছর যাবৎ চুয়াডাঙ্গা জেলার “চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স” পরিবহণের সিনিয়র ড্রাইভারের দায়িত্ব পালন করেছেন। লোকমানের মরদেহের কাগজাদি সম্পন্ন হওয়ার পর কুয়েত সিটি হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড থেকে তাকে জাহারা হাসপাতালে নেওয়ার পর করোনা মহামারি ও লকডাউন জটিলতা বা সমস্যার কারণে কুয়েতেই লোকমানের দাফন সম্পন্ন হতে পারে মর্মে মুঠোফোনে জানায় কুয়েত প্রবাসি ও চুয়াডাঙ্গা সদরের জীবনা গ্রামের মৃত জহর আলী বিশ্বাসের ছেলে ইজাজুল হক। তিনি জানান, কুয়েতে চাকরি করতে এসে করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে কুয়েত সরকার ৮ হাজার দিনার বা বাংলাদেশ টাকা প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা তার পরিবারকে দিবে মর্মে কুয়েত সরকারের ঘোষণা রয়েছে।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়