মো. ইব্রাহিম খলিল:
আজ বুধবার (২৪ মে, ২০২৩ খ্রি.) দুপুরে এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স সাইবার টিমের সফল অভিযানে উদ্ধারকৃত মোট ৬৪ টি হারানো মোবাইল ফোন ও বিকাশ প্রতারণার ৪০ হাজর ৩৯০ টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের মে মাসে এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স ইন্টেলিজেন্স উইং এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম পিপিএম এর নেতৃত্বে এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স এর সাইবার টিম অভিযান পরিচালনা করে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে এসব মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করেন।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্স এর অতিরিক্ত ডিআইজি প্রশাসন মো. ফিরোজ আল মুজাহিদ খান উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। মোবাইল ফোন ও বিকাশ প্র’তারণার টাকা ফেরত পেয়ে তারা এপিবিএন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি প্রশাসন মো. ফিরোজ আল মুজাহিদ খান সেবা গ্রহীতাদের উদ্দেশে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং এপিবিএন হতে সেবা গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম, মানব পা’চারসহ অন্যান্য অপরাধের তথ্য পেলে আপনারা সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসহ এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সকে অবহিত করবেন এবং প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্স, উত্তরা, ঢাকা এর ইন্টেলিজেন্স উইং (সিআইএ) শাখা জানুয়ারি/২০২৩ হতে এপ্রিল/২০২৩ পর্যন্ত সর্বমোট ৩৬৮টি মোবাইল ফোন, বিকাশ প্র’তারণার ৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৯ টাকা, ১ জন ভিকটিম উদ্ধার, ভুয়া পুলিশ ও নিয়োগ সংক্রান্ত ২ জন প্র’তারক গ্রেফতার, ১ জন জ্বিনের বাদশা গ্রেফতার ও ৬টি ফেসবুক আইডি রিকভার করেছে।’
এসময় একেএম মোশাররফ হোসেন মিয়াজী, অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) ১ এপিবিএন, মো. কামরুল আমীন, পুলিশ সুপার ইন্টেলিজেন্স, মো. ফজলুল করিম পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন্টেলিজেন্স উইং এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স উপস্থিত ছিলেন ।
এ ব্যাপারে ফিরোজ আল মুজাহিদ খান, অতিরিক্ত ডিআইজি, এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাধারণ নাগরিকের জন্য এ ধরনের সেবা দিতে এপিবিএন সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সব সময় মানুষের পাশে থেকে আমাদের দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।’
প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম কুমিল্লায় (হোমনা-মেঘনা সার্কেল) এর সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চিহ্নিত চো’র, ডা’কাত, জু’য়াড়ি, স’ন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছিলেন। এছাড়াও তিনি করোনাকালে হোমনা-মেঘনার মানুষকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।