
অনলাইন ডেস্ক : ১৯২০ সালের আজকের দিনে (১৩২৭ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাধীন নোয়ারাই গ্রামের তারামনি টিলায় জন্মগ্রহণ করেন মরমী গীতিকবি, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাউলসাধক দুর্বিন শাহ। তার পিতা সফাত আলি শাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক এবং মা হাসিনা বানু ছিলেন একজন পিরানী। ফলে সঙ্গীতচর্চার একটা পারিবারিক ঐতিহ্যেই তিনি বেড়ে উঠেছেন।
তার অধিকাংশ গানে সুফি ও মরমিবাদ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠলেও এসবের বাইরেও তিনি ভিন্ন মেজাজের অসংখ্য গান লিখেছেন। শ্রেণি বিভাজন করলে এসব গানগুলোকে বাউল, বিচ্ছেদ, আঞ্চলিক, গণসংগীত, মালজোড়া, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, গোষ্ঠ, মিলন, রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলী, হামদ-নাত, মারফতি, পির-মুর্শিদ স্মরণ আল্লা-স্মরণ, নবী স্মরণ, ওলি স্মরণ, ভক্তিগীতি, মনঃশিক্ষা, সুফিতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, কামতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব, পারঘাটাতত্ত্ব, দেশের গানসহ বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এছাড়াও বিবিধ শিরোনামে তার রচিত আরো বিভিন্ন পদাবলীকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। তিনি ১৯৬৭ সালে প্রবাসী বাঙালিদের আমন্ত্রণে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন অন্যতম সফর সঙ্গী ছিলেন বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম। সেখানে তার গানের কথা ও সুরে বিমোহিত হয়ে সঙ্গীত প্রেমীরা তাকে ‘জ্ঞানের সাগর’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
জ্ঞানের সাগর মহান এই কবির জন্মদিনে জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তার কর্মগুলো সংরক্ষণ ও দর্শন ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।