তৌকির আহাম্মেদ হাসু, সরিষাবাড়ী (জামালপুর): |
ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার মাধবপুরের একটি মহিলা মাদ্রাসা থেকে অপহৃত শিশু কে আজ শনিবার জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর আদ্রা গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অপহরণকারীকে। উদ্ধার হওয়া অপহৃত শিশু ফারজানা (৭) ভাংগা উপজেলার মাধবপুর এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারীরা হলো-একই জেলার ভাংগা উপজেলার চন্ডু দদি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে হৃদয় (১৫), সদরদী থানার কাপুডিয়া গ্রামের ডাবলু মুন্সীর ছেলে ইমন মিয়া (১৫)। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে ,ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের অপহৃত শিশু একটি মহিলা মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা(৭)। গত ১৩ নভেম্বর সকাল ৭ টায় ভিকটিম ফারজানাকে তার মামী কলিতা বেগম মাদ্রাসায় রেখে যান। এক ঘন্টা পরে ৮টার দিকে হৃদয়(১৫) নামের এক অপহরণকারী ফারজানাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা কথা বলে মাদ্রাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার চর আদ্রা গ্রামের সুজনের মোবাইল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মাধবপুর ফরজানার বাড়ির পাশের এক বাসার মোবাইলে তার নিকট ফোন দিয়ে ফারজানার মুক্তির জন্য ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং তা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। ওই রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটির বিষয়টি ভাংগা থানায় ফারজানার মাতা কুলছুম বেগম বাদী হয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেন যার নং-৭২০,তারিখ-১৫-১১-১৯। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভাংগা থানা পুলিশ বিভিন্ন থানায় তথ্য প্রদান করে অপহৃতাকে উদ্ধারে ভাংগা থানা থেকে মাসহ জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের এস আই আরিফুলইসলাম আরিফ ও সঙ্গীয় পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান শুরু করে। ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানার ওসি (তদন্ত) নিখিল চন্দ্র অধিকারী এর নেতৃত্বে বিশেষ যৌথ অভিযানিক দলটি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সরিষাবাড়ী থানা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চর আদ্রা গ্রামের এলাকায় অবস্থান নেয়। ওই এলাকা থেকেই আজ শনিবার দুপুরে অপহৃতা ১ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ হানা দিলে দুই অপহরণকারীসহ শিশু ফারজানাকে নিয়ে দৌঁড়ে পালাতে চেষ্টা করে। পরে পুলিশ দৌঁডিয়ে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত ফারজানাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভাংগা থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। |