ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক।।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার এজাহারে এই দম্পতির ৬৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭২২ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ১২১ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বোরবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা দু’টি দায়ের করেন সংস্থার উপ-পরিচালক কমলেশ মন্ডল। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি নিজ, যৌথ ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দু*র্নীতি ও ঘু*স’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করতে অবৈধ অর্থ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নুরান ফাতেমাকে আসামি করা হয়েছে। সংস্থার সহকারী পরিচালক আল-আমিন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। আসামি নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি নিজ, যৌথ ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ। গত ১৬ জানুয়ারি হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাদের ছয়টি কোম্পানির নামে থাকা মোট ৮১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।