crimepatrol24
১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:৩৪ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

সাবেক কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর ইন্তেকাল

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
অক্টোবর ১৬, ২০২৪ ৬:৪১ অপরাহ্ণ

 

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
সাবেক সংসদ উপনেতা, শেরপুর-২ (নকলা- নালিতাবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন।

১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…… রাজিউন)। এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এবং সাবেক মন্ত্রী ও মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দার তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মতিয়া চৌধুরীকে সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনা হয়েছিল।এরপর বুধবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের তাকে ঢাকার এভারকেরহাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শেরপুরসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দলীয় অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে
শোকের ছায়া নেমে আসে।

জানা যায়, অগ্নিকন্যা খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক শেরপুরের নকলা উপজেলার গণপদ্দী এলাকার সন্তান বজলুর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈ’রশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের সেবায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এরপর ১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৮৬ সালে দলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান মতিয়া চৌধুরী।

বেগম মতিয়া চৌধুরী তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০১ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক হুইপ মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।এছাড়া তিনি এই আসন থেকে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১২তম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদের সরকার দলীয় উপনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে মতিয়া চৌধুরীকে।

২০২৪ আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতাদের নামে অনেক মামলা হলেও ক্লিন ইমেজ রাজনীতিক বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। অসীম সাহসিকতার কারণে না পালিয়ে রাজধানীর বাসাতেই জীবনের শেষ সময়গুলো কাটিয়েছেন।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

ডোমারে সাবেক সেনা সদস্য জাকারিয়ার নির্যাতনের শিকার হয়ে ৪টি পরিবার

হোমনা-মেঘনাবাসীর আরেকটু সচেতনতা ও সহযোগিতাই পারে সবাইকে নিরাপদ রাখতেঃ এএসপি মো. ফজলুল করিম

কোটচাঁদপুরে উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে অ বৈ ধ ভা বে বালু উত্তোলনের অভিযোগ!

কুমারখালির বিভিন্ন ইট ভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রাম চিমনী ও ব্যারেল, কাঠ পুড়িয়ে করছে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে কেএমপি

জামালপুর র‌্যাব-১৪ এর অভিযানে ১১ লিটার মদসহ শেরপুরে গ্রেপ্তার -২

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ৬ ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ৬ ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার

মধুপুরে করোনা প্রতিরোধে পুলিশের মাস্ক বিতরণ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

জামালপুরে এস.এম থিয়েটারের নাটক ‘দিকদর্শন’র মহরত অনুষ্ঠিত

হাজারো মানুষের ভালোবাসায় বিদায় নিলেন ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী জাহিদ ফাউন্ডেশনের পরিচালকের পিতা মুসা মিয়া