নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার,সদর থানার ওসি’র অপসারণ ও কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফসহ তার স’ন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক নি’র্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা।
এসময় জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাভিশনের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি নুর আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি মর্নিং গ্লোরীর জেলা প্রতিনিধি আবু হাসান, জেলা সাংবাদিক নি’র্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি স্বপ্না আক্তার সর্নালী শাহ, সিনিয়র সহ- সভাপতি আব্দুর রশিদ, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষক ওয়াজেদুর রহমান কনক, সৈয়দপুর উপজেলা সদস্য সচিব ওয়ালিউর রহমান রতন, নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাদিকুল ইসলাম,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(বিএমএসএফ)ডিমলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ডিমলা প্রেসক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার ডিমলা প্রতিনিধি মহিনুল ইসলাম সুজন, নিউ ন্যাশন এর জলঢাকা প্রতিনিধি শাহজাহান কবির লেলিন, দৈনিক খোলা কাগজের জলঢাকা প্রতিনিধি আবেদ আলী, কিশোরগঞ্জ উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান, কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক কে এম শাকীরসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গত ৬ এপ্রিল শনিবার সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর ইদ উপহার হিসেবে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের ছবি তুলতে গেলে দৈনিক সমাজ সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক নুরল আমিন, দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি মোঃ হারুন উর রশিদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা এবং আজকের দেশকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে নি’র্যাতন করেন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরীসহ তার স’ন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যার। পরদিন সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে, চেয়ারম্যান নিজেদের অপকর্মকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তার একদিন পর ২৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ওই চারজনসহ আন্দোলনকারী নেতা দৈনিক জনতার জেলা প্রতনিধি ও সাংবাদিক নি’র্যাতন প্রতিরোধ কমিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক এন এম হামিদী বাবু’র নামে মিথ্যা চাঁ’দাবাজি’র মামলা দায়ের করেন কচুকাটা ইউনিয়নের প্যালেন চেয়ারম্যান মো: মোশফিকুর রহমান। এর এক ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত ছাড়াই দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা রহস্যজনকভাবে রুজু করেন অফিসার ইনচার্জ মো: তানভিরুল ইসলাম।তাই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার,সাংবাদিক নি’র্যাতন বন্ধ,সদর থানার ওসিকে অ’পসারণসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবি পূরণ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারী দেন তারা।