
দাউদকান্দি(কুমিল্লা)সংবাদদাতা: >
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের আবুল হাশেমের মেয়ে ৩ সন্তানের জননী সালমা আক্তার (২৮) কে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনসহ জোরপূর্বক তালাক দিতে চাপসৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামী লোকমান খান (৩৫) ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মো. আবুল হাশেম এর মেয়ের সাথে একই গ্রাামের মোশাররফ হোসেন শুক্কুরের ছেলে লোকমান খান এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় প্রায় ১৫ বছর পূর্বে। বিয়ের পরে সুন্দর ভাবেই চলছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। এই দাম্পত্য জীবনে রয়েছে তিনটি সন্তান। বড় মেয়ে সাদিয়া (১৪), মেজো ছেলে ইয়াছিন খান (৬) ও ছোট ছেলে ইয়ামিন খান (৪)। হঠাৎ এক বছর পূর্বে দেশে এসে প্রবাসী লোকমান প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে সুমি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের তিন মাস পরেই তাকে সৌদিআরবে নিয়ে যায় স্বামী লোকমান। তরপর থেকে প্রথম স্ত্রী সালমার ও সন্তানদের জীবনে নেমে আসে দুঃখ -দুর্দশা। পাষণ্ড স্বামীর নির্দেশে সালমার উপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমনকি ভরণপোষণ করছে না, দিচ্ছে না কোন খরচ। মানুষের কাছে হাত পেতে ছেলে মেয়ের খাবার যোগাড় করছেন নির্যাতিত নারী সালমা।
এবিষয়ে সালমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী আমাকে না জানিয়ে গত এক বছর আগে সুমি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে সৌদিআরবে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আমার স্বামী আমার ও আমার ছেলে মেয়েদের কোন খোঁজখবর নিচ্ছে না এবং সংসার চালাতে কোন টাকা পয়সা দিচ্ছে না। এছাড়াও আমার স্বামীর নির্দেশে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবররা আমাকে মারপিটসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। এলাকার কিছু লোককে টাকা দিয়ে তাদের দল ভারী করে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক তালাক নিতে চাচ্ছে। আমি মরে গেলেও তালাক দিবো না, আমি এক স্বামীর পরিচয়েই বাঁচতে চাই।
এদিকে সালমার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন শুক্কর এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি লোকমানের দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, লোকমানের স্ত্রীর সাথে আমাদের কোন বিরোধ নাই। আমিও চাই সংসারটি টিকে থাকুক। কিন্তু লোকমান যদি তার প্রথম স্ত্রীকে না রাখে আমাদের কিছু করার নাই।
সালমা এখন তিন সন্তান নিয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কোথাও পাচ্ছেন না ন্যায়বিচার।