crimepatrol24
১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১০:০৯ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ডিমলায় দিন দুপুরেও ঝুলছে তালা: পরিদর্শিকার ইচ্ছে মতো চলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
এপ্রিল ১, ২০২১ ৯:২৬ অপরাহ্ণ

সুজন মহিনুল,নীলফামারী প্রতিনিধি।। কাগজে-কলমে সপ্তাহের সাতদিন খোলা দেখানো হয়।কিন্তু বাস্তবে সপ্তাহের দু-একদিন খোলা পাওয়া যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি।তাও আবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা নয়তো দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বাকিটা সময় তালা ঝুলতে দেখা যায়।ইউনিয়ন কেন্দ্রটির পরিদর্শিকা রিনা বেগমের স্বেচ্ছাচারিতায় প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নটির ৪৫ হাজারেরও অধিক বাসিন্দা।এতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবুও এখনো সেই ইউনিয়ন কেন্দ্র পরিদর্শিকা রয়েছেন বহাল তবিয়তেই!
এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে সরেজমিন নাউতারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রুবি বেগম বললেন,রিনা ম্যাডাম(পরিদর্শিকা রিনা বেগম)দুপুর ১২টার পরে মাঝে মধ্যে আসলেও আজকে সাড়ে ১২টা বেজে গেলেও এখনও আসেননি!
সেবা নিতে আসা সালমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দুপুর গড়িয়ে গেল। ম্যাডাম যে কখন আসবে জানি না।
পার্শ্ববর্তী আমিনার রহমান বলেন, সপ্তাহে দু-একদিন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি খোলা হলেও দুপুরের আগে রিনা ম্যাডাম আসেন না। আসার এক ঘণ্টা পর আবার চলে যান। ম্যাডাম না আসার কারণে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অন্য কেউ থাকে না।এখানে সরকারি অনেক ওষুধ থাকলেও অনেক সময় ওষুধ নেই বলে অনেককে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বসবাসের জন্য সরকারিভাবে কোয়ার্টার বরাদ্দ থাকলেও সেখানে থাকেন না নাউতরা ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা রিনা বেগম।তিনি পার্শ্ববর্তী ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংলগ্নে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট চেম্বার খুলে সেখানে অর্থের বিনিময়ে রোগী দেখেন।
এসময় চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতি নারী অভিযোগ করে বলেন, পরিদর্শিকা রিনা বেগম গর্ভবতী চেকআপের সময় ৫০০ টাকা, ডেলিভারির সময় ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা এবং গর্ভবতী কার্ড প্রদানের সময় ২০০ টাকা করে নেন রিনা বেগম।
তার বদ মেজাজ ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তার কর্মস্থলে আয়া-পিয়ন সহ অন্যান্য স্টাফরা থাকতে চান না।এতে করে বর্তমান সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে পরিদর্শিকা রিনার কারণে ইউনিয়নটিতে।তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলেও সত্য, এত অনিয়মের পরও ওই ইউনিয়ন কেন্দ্রের পরিদর্শিকা সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধাই ভোগ করছেন।
নাউতারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সভাপতি এবং উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত এলাকাবাসী প্রায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির পরিদর্শিকা রিনার নিয়মিত কেন্দ্রে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করায় আমি তাকে(ইউনিয়ন কেন্দ্র পরিদর্শিকাকে) এর আগেও সতর্ক করেছিলাম।তিনি পরে কিছুদিন নিয়মিত কেন্দ্রে আসলেও আবারও পুর্বের ন্যায় নিজের খেয়াল খুশিমতো মন চাইলে কেন্দ্রে আসেন মন চাইলে চলে যান।
রিনার পুর্বের কর্মস্থল ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, তিন বছর আগে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে রিনা বেগমকে ঝুনাগাছ চাপানি থেকে দিনাজপুর জেলার ঘোরাঘাট উপজেলার পালসা ইউনিয়নে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু বদলির কয়েক মাসের মধ্যে তিনি পার্শ্ববর্তী নাউতারা ইউনিয়নে বদলি নিয়ে আসেন।
চাপানি ইউনিয়নে তার চেম্বার রয়েছে।সেখানে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি মিনি ক্লিনিক খুলে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদানের নামে প্রতারণা করে আসছেন।
এ বিষয়ে জানতে নাউতারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রিনা বেগম এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।কেউ আমাকে নষ্ট নারী বললে কি আমি নষ্ট হয়ে গেলাম।
আমার কেন্দ্রে কোনো আয়া-পিয়ন না থাকায়  আপনারা(সাংবাদিকরা)বুধবার যখন কেন্দ্রে এসেছিলেন তখন আমি কেন্দ্রে তালা দিয়ে কাগজ ফটোকপি করতে গিয়েছিলাম।পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হতে ফটোকপির দোকান সামান্য দূরত্বের পরও কয়েক ঘন্টা লাগলো কেনো ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,তিন ঘন্টাও লাগতে পারে আবার চার ঘন্টাও লাগতে পারে!
এসব আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।
ডিমলা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসীন আকন্দ বলেন, বিষয়টি আমি বুধবার জেনেছি।এর আগেতো আমাকে কেউ জানায়নি।কেন্দ্রের সভাপতি লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিব।কেউ লিখিত অভিযোগ না করলে কেন্দ্রে অনিয়মের ব্যাপারে আপনার দায় এড়ানোর সুযোগ রয়েছে কিনা এবং আপনি সে অনিয়মকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,ডিডি স্যারসহ আমি সরেজমিনে ওই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে কমিটির লোকজনসহ আশ-পাশের লোকদের কাছে সমস্যার কথাগুলো শুনবো।আমি আগামী সপ্তাহে অফিসে যাব, আপনি অফিসে আসিয়েন তারপর রিপোর্ট করিয়েন!
নীলফামারীর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক শাহাজাহান বলেন, নাউতারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে তালা ঝুলছে বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

পঞ্চগড়ে আলেখ্য কুঁচিকা’র মোড়ক উম্মোচন

পঞ্চগড়ে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক বহুমুখী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ

ঝিনাদইহে নিবন্ধনকৃত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি সমূহের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ ও আলোচনাসভা

কেএমপি’র অভিযানে মাদকসহ ৫ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ঝিনাইদহে যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আদমদীঘিতে আবারও দুই চাতাল মালিকের ৬০হাজার টাকা জরিমানা

আদমদীঘিতে আবারও দুই চাতাল মালিকের ৬০হাজার টাকা জরিমানা

ঝিনাইদহে কৃষকের বাড়িতে ডাকাতি, গরু, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

কেএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে মাদকসহ ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ঝিনাইদহে ৫’শ ২০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬

ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেটের ব্যবহার ॥ ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ