crimepatrol24
১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় দুপুর ১:২৬ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
অক্টোবর ১৩, ২০২০ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ

মো. পারভেজ আলম, জেলা প্রতিনিধি,ঢাকা>> বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মঙ্গলবার দুপুরে এ অধ্যাদেশ জারি করে। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাতে সই করেন। একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের মধ্যে ‘জরুরি’ বিবেচনায় আইনটি সংশোধন করে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করল সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এই অধ্যাদেশ উপস্থাপন করতে হবে। আইনটি বলবৎ রাখতে চাইলে পরে বিল আকারে তা আনবে সরকার। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এতদিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। পাশাপাশি দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে অর্থ দণ্ডের বিধান। এ আইনে শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে বিচার ও রায় কার্যকর করার জন্য আইন সংশোধনের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করা হচ্ছিল বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে। সম্প্রতি নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, সিলেটের এমসি কলেজে তুলে নিয়ে ধর্ষণসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যৌন নিপীড়নের ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সেই দাবি আবারও জোরালো হয়ে ওঠে। এই অধ্যাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে পরিচিত হবে। ২০০০ সালের আইনের ৯ নম্বর ধারার ১ উপধারায় শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছিল- যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন। সংশোধিত অধ্যাদেশে ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘মুত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ২০০০ সালের আইনের ৯ নম্বর ধারার ৪ (ক) উপধারায় বলা হয়েছিল, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন। সংশোধিত অধ্যাদেশে এখানেও ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘মুত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ২০০০ সালের আইনের ৩২ ধারায় বলা ছিল এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া মেডিকেল পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে কিংবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোন বেসরকারি হাসপাতালে সম্পন্ন করা যাইবে । সংশোধিত অধ্যাদেশে অপরাধের শিকার ব্যক্তির পাশাপাশি ‘অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির’ মেডিকেল পরীক্ষা করার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৩২ ধারার সঙ্গে ৩২ ক শিরোনামে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে অধ্যাদেশে। সেখানে বলা হয়েছে,এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ধারা ৩২ এর অধীন মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়াও, উক্ত ব্যক্তির সম্মতি থাকুক বা না থাকুক, ২০১৪ সালের ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইনের বিধান অনুযায়ী তার ডিএনএ পরীক্ষা করিতে হইবে।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

Sparians on Form

দেশে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড ১৬৪, নতুন শনাক্ত ৯৯৬৪

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জামালপুর যুবলীগের বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ৬ মা’দক কারবারি গ্রে’ফতার

মহেশখালীতে ছয় বছরের শিশুকে ধ*র্ষণের পর হ*ত্যা, ধ*র্ষকের মৃত্যুদণ্ড

ডোমারে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

কোনো অবস্থাতেই স্বাস্থ্য খাতের সেবা থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা যাবে না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক অ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত

টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই : ইঞ্জি.আবদুস সবুর

ময়মনসিংহে ১০টি সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু