মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : রংপুর মহানগরীর নজিরহাট এলাকার আমিরুল ইসলাম নামে এক গ্রাম্য পশু চিকিৎসক ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অসুস্থ গরু জবাই করার প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে রংপুর সদর উপজেলার অযোধ্যাপুর এলাকার বেলায়েত হোসেনের খামারে এই ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বেলায়েত হোসেনের খামারে ৩টি এঁড়ে গরু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যায়। পরে খামারের মালিক বেলায়েত হোসেন গ্রাম্য পশু চিকিৎসক আমিরুল ইসলামকে ডেকে নেন। এ সময় আমিরুল ইসলাম মোটা টাকার বিনিময়ে অসুস্থ গরু জবাইয়ের পরামর্শ দেন। বাজারে ৩টি এঁড়ে গরু মূল্য ২লাখ ১০ হাজার টাকা হলেও স্থানীয় কসাইদের কাছে ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন খামারের মালিক বেলায়েত হোসেন।
এদিকে স্থানীয় মরিচটারী এলাকার কসাই সামিজুল ইসলাম ও দেওডোবা এলাকার আলী কসাই জানান, খামারের গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের খবর দেয়। ওই রাতে ৩টি গরু পল্লী চিকিৎসক ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে জবাই করা হয়। এছাড়াও গরু জবাইয়ের পর গোস্ত বিক্রির জন্য আমাদেরকে প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়েছে।
খামারের মালিক বেলায়েত হোসেন জানান, আমি চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার পর সদর উপজেলার অযোধ্যাপুর এলাকায় জমি ক্রয় করে ছোট পরিসরে গরুর কামার গড়ে তুলি। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার গভীর রাতে খামারের বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ হয়। এর মধ্যে ৩টি গরু বেশি অসুস্থ হলে আমিরুলের পরামর্শে স্থানীয় কসাই’র কাছে অল্পমূল্যে বিক্রি করি। এতে করে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে গ্রাম্য পশু চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পশুর চিকিৎসা করে আসছি। খামারীর উপকারের জন্য এই প্রত্যায়নপত্র দিয়েছি। যদিও এটি দেওয়া আমার উচিত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মিঠু জানান, একজন গ্রাম্য পশু চিকিৎসক গোস্ত বিক্রির জন্য প্রত্যায়নপত্র দিতে পারে না। অসুস্থ গরুর গোস্ত বিক্রি আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ। এটি প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।