
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
স্বাধীনতার ৪৯ বছররের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর চিলাহাটিবাসীরা পেল তাদের ন্যায্য উপহার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। প্রতি খরা মৌসুমে এই এলাকায় প্রায়ই হঠাৎ করে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটলে এতে প্রতি বছরেই শতশত বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতি সাধন হয় লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল, সর্বশান্ত হয়ে পথে বসে শত পরিবার। অবশেষে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের কারেঙ্গাতলী এলাকায় ৩৩ শতক জমির উপর গত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কন্সট্রাকশনের কাজ। কাজটি সম্পূর্ণ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিসেস খাজা বিলকিস রাব্বি, নীলফামারী। ৪ তলা বিশিষ্ট এই ফায়ার সার্ভিস ভবনের নিচতলায় রয়েছে গাড়ি রাখার স্থান ও ৫টি রুম, ২য় তলায় রয়েছে ২টি রুম, ৩য় তলায় রয়েছে ২টি রুম ও ৪র্থ তলায় স্টাফ কোয়াটার হিসেবে ৪টি রুম। উক্ত কাজে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। এখন শুধু শুভ উদ্বোধনের প্রহর গুনছে ডোমার উপজেলার এই সীমান্ত অঞ্চলের ৫টি ইউনিয়ন ও চিলাহাটি এলাকাবাসী।
এ ব্যপারে মিসেস খাজা বিলকিস কন্সট্রাকশনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এই ফায়ার সার্ভিস ভবনের কাজ শেষ। কিন্তু, কিছু সাময়িক জটিলতার কারণে হয়ত চলতি বছরের জুলাই মাসে এই ভবনের শুভ উদ্বোধন হবে বলে আশা করা যায়। এলাকার অভিজ্ঞ মহলের প্রত্যাশা আগামীতে চিলাহাটি স্থলবন্দর ও চিলাহাটি হলদিবাড়ির রেল লাইনের কাজ শেষ পর্যায়ে। তাই অতি জরুরি প্রশাসনের মাধ্যমে সাময়িক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অতিদ্রুত এই ফায়ার স্টেশনটির শুভ উদ্বোধন করা প্রয়োজন। তাহলে ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে ভোগডাবুরী, কেতকীবাড়ি, জোড়াবাড়ি, গোমনাতি ও বামুনিয়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববতী পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ এলাকার মানুষও এই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে সুবিধা পাবে বলে অনেকে আশা করেন।