
মোঃইমরান হোসেন(পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অধিকাংশ সময়ই আসনের চেয়ে ভর্তি রোগী থাকত বেশি। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ থেকে তিনশ রোগী চিকিৎসা নিতে আসত। কিন্তু গত ছয় দিন ধরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ থেকে দশ জনে। আর বহির্বিভাগে দেখাতে আসা রোগীর সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন। তবে এর মধ্যে জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগীর সংখ্যা নেই।
এমন চিত্র দেখা গেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি রোগী কমেছে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছয়জন চিকিৎসা কর্মকর্তা তাদের কক্ষে উপস্থিত আছেন। এর মধ্যে দন্ত চিকিৎসক মো. রাশেদুল হকের কক্ষে একজন রোগী আছেন। এছাড়া বাকি কারো কক্ষেই কোনো রোগী নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৪ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত ছয় দিন ধরে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের দেওয়ালে কাগজ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাতে লেখা রয়েছে- সামান্য সর্দি, কাশি, হাঁচি ও জ্বরের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না এসে বাসায় বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিবেন। এছাড়াও লেখা রয়েছে অন্তঃবিভাগে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন,‘করোনার ভয়ে সামান্য অসুস্থ হলেও কেউ হাসপাতালে আসছে না। এ কারণেই রোগীর সংখ্যা কম। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী বা তাদের স্বজনেরা আমাদের ফোন করে সমস্যার বর্ণনা দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন,১৫ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। জনবসতি প্রায় সাড়ে চার লাখ।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে চিকিৎসক সংকট। ২৫ জন চিকিৎসকের অনুকূলে কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন।
তিনি আরও বলেন, যে যুবককে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে। এরপরেও তার সংস্পর্শে থাকা ৩১ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তারা সেভাবেই থাকছেন।