
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে চার মুসলিম পরিবারের সদস্যদের মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা ও মসজিদ কমিটি কর্তৃক ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে এক ঘরে করে রাখার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টায় ডোমার প্রেসক্লাব হলরুমে উপজেলার সদর ইউনয়নের পশ্চিম চিকনমাটি নাওয়া পাড়া গ্রামের মানিক ইসলাম বাবু ও তাদের পরিবারবর্গ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে লিখিত বক্তব্যে নাওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মানিক ইসলাম বাবু জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটি নাওয়া পাড়া বাইতুর রহমত জামে মসজিদটির বয়স প্রায় ১২০ বছর। এই মসজিদে এক সময় আমার দাদার বাবা মাওলানা নীল মামুদ মোতাওয়াল্লি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আমার বাবা মৃত আব্দুল মজিদও উক্ত মসজিদের কোষাধক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। গত তিন বছর পুর্বে মসজিদের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উক্ত কমিটির সম্পাদক শাহিন ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ ইউসুফ আলীর সাথে আমাদের পারিবারিক বিরোধ থাকায় সেই প্রতিহিংসার জেরে মসজিদের জামাত থেকে আমাদের একঘরে করে রাখে পাশাপাশি মসজিদে আমাদের পরিবারের কাউকে নামাজ পরতে দেয় না। এমনকি আমাদের পরিবারে মিলাদ এবং ধর্মীয় উৎসবে কোন মাওলানাকে বাসায় আসতে দেয়া হয় না। আমার বাবা ও দাদার মৃত্যুবার্ষিকীতে মসজিদের মাওলানাসহ কমিটিকে দাওয়াত করলেও তারা মাওলানাকে আমাদের বাসায় আসতে বাধা দেয়। ফলে বাসায় মিলাদ পড়ানো সম্ভব হয়নি। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এই সময়ে আমাদের পরিবারে কেউ মারা গেলে তাকে কি দাফন করানো যাবে না ? আমাদের একঘরে করায় এলাকার কেউ আমাদের সাথে কথা বলে না। আমাদের পরিবারের ২৮ জন সদস্য এসব কারণে মানসিকভাবে বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার ভাই রাকিবুল ইসলাম পুতুল ও চাচা মশিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। বায়তুর রহমত জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শাহিন ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় পরে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
মসজিদের সভাপতি ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, মসজিদ কমিটি ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সাথে একাধিকবার আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় আমি কয়েকদিন আগে মসজিদের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।