দলীয় কোন্দলে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বিএনপির
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
কুমিল্লার হোমনায় সদ্যঘোষিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে বিএনপির একটি অংশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল হক জহর, বিএনপি নেতা অ্যাড. মো. আজিজুর রহমান মোল্লা ও শাহ আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
বিক্ষোভ পালনকালে বিক্ষোভকারীরা কুমিল্লার বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার ছবি সম্বলিত কু’শপুত্তলিকা দা’হন করে।
আজ ৩১ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিলটি হোমনা চৌরাস্তা মোড় ও পৌর মার্কেটের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। এসময় মিছিল থেকে বিক্ষোভকারীরা ‘সেলিম ভূঁইয়ার চামড়া তুলে নেব আমরা, সেলিম ভূঁইয়ার দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, আক্তারের চামড়া তুলে নেব আমরা, আক্তারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, আক্তারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, তারেক মুন্সির চামড়া তুলে নেব আমরা, তারেক মুন্সির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি নেতা মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- হোমনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল হক জহর, বিএনপি নেতা অ্যাড. মো. আজিজুর রহমান মোল্লা, মো. হানিফ মিয়া কণ্ট্রাক্টর, আ: আজিজ সাব মিয়া ও হোমনা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সাইজুদ্দিন সাজু প্রমুখ।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জহিরুল হক জহর অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াকে চোর আখ্যা দিয়ে বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কোনো আলোচনা না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না, মানবো না। এসময় তিনি সদ্যঘোষিত কমিটির সাথে জড়িত অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অনতিবিলম্বে এই অবৈধ কমিটি বিলুপ্ত করে দলের ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। অন্যথায়, হোমনায় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান এবং সদস্য সচিব এ. এফ. এম. তারেক মুন্সিসহ যারা এই কমিটির সাথে জড়িত তাদের সকলকে অবাঞ্ছিত করা হবে।’
অ্যাড. মো. আজিজুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘তারেক রহমান যাদের ভোট বেশি তাদেরকে মনোনয়ন দিবেন। মাঠে আমার আর জহর সাহেবের ভোট বেশি। সেলিম ভূঁয়া মনে করছে, আমাদেরকে দলে রাখলে সুবিধা করতে পারবে না। সে কারণেই অবৈধ টাকার বিনিময়ে আমাদেরকে বাদ দিয়ে এই পকেট কমিটি গঠন করেছে। অথচ হোমনার মানুষ আমাকে এবং জহর সাহেবকে বিএনপির নেতৃত্বে দেখতে চায়। তাদের এই পকেট কমিটি পকেটেই থাকবে, আর কিছু করতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, সদ্যঘোষিত কমিটির আগের কমিটি বিএনপির কাউন্সিলিংয়ের ভোটের মাধ্যমে করা হয়েছিল। ওই সময় নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক জহর এবং অ্যাড. মো. আজিজুর রহমান মোল্লাকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি), হোমনা উপজেলা শাখা ও পৌর বিএনপি’র পূর্বের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মো. মহিউদ্দিকে আহ্বায়ক ও মো. মোজাম্মেল হক মুকুলকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা বিএনপি এবং মো. ছানা উল্লাহ সরকারকে আহ্বায়ক ও মো. নজরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে দু’টি নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।