মো. ইব্রাহিম খলিল, হোমনা, কুমিল্লা:
কুমিল্লার হোমনায় একই ঘর থেকে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে ভুঁইয়া বাড়ির শাহপরানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন – শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩০), তার ছেলে সাহাদ মোল্লা (৯), পাশের বাড়ির তার মামাতো ভাসুর রেজাউল করিমের মেয়ে তিশা মনি(১৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মাহমুদা বেগম ও তার ছেলে সাহাব উদ্দিন কে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী শাহপরান ঢাকায় একটি জুতা ফ্যাক্টরীতে চাকুরি করেন। বাড়িতে তার স্ত্রী মাহমুদা ছেলেকে নিয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যে রাতে তার মামাতো ভাই রেজাউল করিমের মেয়ে তিশা মনি মাহমুদা বেগমের সাথে থাকতো।
গতকাল বুধবার রাতের খাবার খেয়ে শাহপরানের ঘরে তার চাচি মাহমুদার সাথে থাকতে আসে। কিন্ত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে তিশা মনি বাড়ি না যাওয়ায় রেজাউল করিমের বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে এসে দেখেন ঘরের পিছনের দরজা খোলা এবং খাটের উপর ৩ জনের মৃতদেহ পড়ে আছে। এসময় তাদের শোর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন জড়ো হয়।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানায় খবর দেওয়া হলে সেনাবাহিনীসহ কুমিল্লার পুলিশ সুপার আসফিকুজ্জামান আকতার, (হোমনা -মেঘনা) সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মীর মুহসীন মাসুদ রানা ও হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত মাহমুদা বেগমের স্বামী শাহপরান জানান, ‘আমি ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী বাড়িতে থাকে। আমি বাড়ি না থাকলে মাঝে মধ্যে আমার ভাতিজি তিশা মনি রাতে আমার বাড়িতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে বাড়িতে আসছি। আমার সাথে কারোর কোনো শত্রুতা নেই। আমি এর বিচার চাই।’
নিহত তিশামনির বাবা রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি দুলালপুর বাজারে ব্যবসা করি। তিশা মনি মাঝে মধ্যে রাতে আমার ফুফাতো ভাই শাহাপরানের ঘরে তার স্ত্রীর সাথে রাতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে চলে যাই। সকাল ৮ টার দিকে এ দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই। আমার কোনো শত্রুতা নেই। এই মূহুর্তে আমি কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না।’
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘নিহতদের মাথায় আ’ঘাতের চিহৃ আছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় তাদের শ্বা’সরোধ করে হ’ত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’