হালিম সৈকত, কুমিল্লা ।।
সাধারণত হেফজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে। অনেকে সারা জীবনের চেষ্টায়ও ব্যর্থ হয়।
তবে ১৪ বছর বয়সে মোঃ ফয়সাল আহমেদ তা করে দেখালেন।
খুব অল্প বয়সে পুরো কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে সে। যা রীতিমতো অবাক করেছে তার শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
জানা গেছে, মোহাম্মদ ওমর ফারুক গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কোরআন মুখস্থ করা শুরু করে। পরে ৮ মাসেই তা শেষ করে বিস্ময়কর এই প্রতিভাবান হাফেজ।
ফয়সাল আহমেদ এর শিক্ষকরা জানান, সে প্রথমে দুই থেকে তিন পৃষ্ঠা সবক দেওয়া শুরু করে। এরপর কখনো পাঁচ পৃষ্ঠা, আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিত।
তারা আরও জানান, সবাই যখন বিকেলে খেলাধুলা করত, তখন রুমে বসেই পড়ত। ফয়সাল আহমেদ যেদিন হাফেজ হয়, সেদিনও যথারীতি তাকে পড়তে দেখেন তারা।
প্রখর মেধাবী এই ফয়সাল আহমেদ কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি নুরানিয়া মোহাম্মদীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় ৩০ পারা শেষ করে।
পরে কালাচান্দকান্দি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা তালিমুল ইসলাম এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসায় রিভিশন ও শুনানি শেষ করে।
সে তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাবিকুল ইসলাম ও রুমি আক্তারের ছেলে।
হাফেজ ফয়সাল আহমেদ সাংবাদিকদের জানায়, ‘পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরে নিজেও খুশি। বড় হয়ে অনেক বড় আলেম হতে চায় সে।’
ফয়সাল আহমেদ এর বাবা ছাবিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। আমি যখন মক্কায় কাবা ঘরে চুমু খাই, তখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যদি আমার ছেলে সন্তান হয় তাকে হাফেজ বানাব। সেই ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছে। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আল্লাহর প্রতি ও ছেলের শিক্ষকদের প্রতি।’
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোঃ ইয়াছিন আহমাদ বলেন, ‘আল্লাহপাক কবুল করেছেন বলেই পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে ফয়সাল আহমেদ। এত ছোট বয়সে কোরআন মুখস্থ করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। এটা মাদ্রাসার জন্যও গর্বের।’