ক্রাইম পেট্রোল ২৪ ডেস্ক:
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের দাবি নিয়ে গত ১০দিন ধরে ছেলের বাড়িতে অনশন ও অবস্থান কর্মসুচি পালন করছে প্রেমিকা। রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি ও পুলিশের কথিত সোর্সের খপ্পরে পরে ভুক্তভোগী পরিবার দু’টি বিপদগামী হয়ে পড়েছে। অসাধু ব্যক্তিদের কারণে এলাকাবাসি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। গত ২৩ আগস্ট হতে উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের বাচ্চা মিয়ার কন্যা বিলকিছ আকতার বিয়ের দাবি নিয়ে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম রামজীবন গ্রামের জাহির উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছে। জানা গেছে কর্মের সন্ধ্যানে দীর্ঘদিন হতে বিলকিছ জর্দানে এবং আশরাফুল দুবাইয়ে অবস্থান করছিল। মোবাইল ফোনে তাদের ভালবাসার সূত্রপাত ঘটে। দু’জনের বাড়ি একই ইউনিয়নে হওয়ায় তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সুবাদে গত কোরবানির ঈদের আগে দু’জনে একই দিনে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসে। ঈদের পরে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও ছেলে পক্ষ টালবাহনা শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে মেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এলাকাবাসি বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য শালীশের মাধ্যমে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তির খপ্পরে পরে ছেলের পরিবার গ্রাম্য শালীশ অমান্য করে ছেলেকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয়। এনিয়ে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত এস আই জহুরুল ইসলাম ও সুন্দরগঞ্জ থানার এ এস আই শাহিন মিয়া কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও রহস্যজনক কারণে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
এলাকাবাসি ও ধুনিয়ার কুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তির কারনে বিষয়টি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার দু’টি এখন বিভিন্ন ব্যক্তির খপ্পরে পরে বিপদগামী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসি মোজাফফর হোসেন জানান পুলিশের কথিত সোর্স মিজানুর রহমান তার মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ৪০ হাজার টাকা মেয়ে পক্ষের নিকট দাবি করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য। টাকা দিতে রাজি হলেও মিজানুর রহমান এখন টালবাহনা করছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, মিজানুর রহমান ছেলে পক্ষের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেছে, যা মোবাইল ফোনে মিজানুর তাকে জানিয়েছে। এনিয়ে মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে টাকা নিয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন হয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আব্দুস সোবহান জানান, এলাকাবাসিসহ মেয়ে পক্ষ আমার নিকট এসেছিল। আমি তাদেরকে পরামর্শ প্রদান করেছি।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে পরামর্শ করেছি।